শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অধরা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ৮ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

দলীয়-সিদ্ধান্তের-ব্যাপারে-অধরা-বিএনপির-জ্যেষ্ঠ-নেতারা

দলীয়-সিদ্ধান্তের-ব্যাপারে-অধরা-বিএনপির-জ্যেষ্ঠ-নেতারা

দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কিছুই জানতে পারছেন না বলে জানা গেছে। সম্প্রতি নানা ইস্যুতে জ্যেষ্ঠ নেতাদের আন্দোলননের পরিকল্পনার ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা তাদের কাছে আসছে না। 

দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের গুরুত্ব না দিয়ে তিনি ঝুঁকেছেন মধ্যসারির নেতাদের কাছে। এ নিয়ে জ্যেষ্ঠ নেতাদের মনোক্ষুণ্ন হয়েছে। দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে গুরুত্বহীনতার আভাস মিলায় গোপনে দলের কার্যক্রম থেকে নিজেদের গুটিয়েও নিচ্ছেন অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দলের কিছুই আমাদের জানানো হয় না। নতুন নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হবে বলে শুনেছি। আবার নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণেও নাকি আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু আমাদের তো কিছুই জানানো হয় না।

দলের একাধিক সূত্র জানায়, হঠাৎ করে আন্দোলনের চেষ্টা করা, বিভিন্ন স্থানে সভা সমাবেশ করা কিংবা দলে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এসব বিষয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটিতে কোনো আলোচনা হয় না। সিদ্ধান্তগুলো এসেছে- লন্ডনে নির্বাসিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে। নেতাদের কেউ কেউ হয়তো জানতেন কী হতে যাচ্ছে। 

নেতারা বলছেন, বিষয়গুলো নিয়ে একধরনের লুকোচুরি দৃশ্যমান। বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছ থেকে লুকিয়ে বিএনপিকে কোন উচ্চতায় নিতে চাচ্ছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।

এদিকে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্যে বিভ্রান্তি আরো বেড়েছে। গত ৬ মার্চ এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, দলের ভেতরে অসংখ্য সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে সবাইকে বলার প্রয়োজন নেই। কারণ দলের ভেতর অনেক ফর্মা (তথ্যদাতা) ঢুকেছে। এ কারণে লন্ডন থেকে নির্দেশনা থাকায় আমরা কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে সময় মতো সব কিছু জানতে পারবেন।

এ বিষয়ে দুজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ইচ্ছা করলেই আমাদের জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। আমরা তো আর দলের বাইরের কেউ নই। তাদের ব্যবহারে মনে হচ্ছে যেন আমরাই তথ্যদাতা। সারা জীবন যে দলের জন্য কাজ করে গেলাম, শেষ বয়সে এসে এমন কথাও শুনতে হতে পারে তা কল্পনায়ও ছিলো না।