ডা. জাফরুল্লাহকে বয়কটের সিদ্ধান্ত বিএনপির
প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার
ডা-জাফরুল্লাহকে-বয়কটের-সিদ্ধান্ত-বিএনপির
সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্যের পেছনে তিনি এখন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এ দূরত্ব তৈরি হয়। সদ্য নির্বাচন কমিশন গঠনকে কেন্দ্র করে তা চরমে পৌঁছায়।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় জাফরুল্লাহর ভূমিকাকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করেছে বিএনপি।
বিশেষ করে সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে গিয়ে সম্ভাব্য নাম দেওয়ার বিষয়টিকে তারা মেনে নিতে পারছেন না। তার নামের মধ্যে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের নামও ছিল।
সার্চ কমিটিতে তার দেওয়া নাম নিয়ে সেসময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিএনপি ডা. জাফরুল্লাহর মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনের জন্য তাদের পছন্দের নাম দিয়েছে। এরপর হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেওয়ার পর ডা. জাফরুল্লাহ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন, হাবিবুল আউয়াল অত্যন্ত সৎ, নিষ্ঠাবান লোক এবং তার ওপর যদি সরকার অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ সৃষ্টি না করে, তিনি ভালো কাজ করবেন। সবাইকে তার সহযোগিতা করা উচিত। তার এমন সার্টিফিকেট বিএনপির জন্য বড় আঘাত হিসাবে সামনে এসেছে বলে মনে করেন দলটির নেতারা।
জাফরুল্লাহর নাম দেওয়া এবং তার প্রস্তাবিত ব্যক্তি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হওয়াটা শুধু যে কাকতালীয় তা মানতে নারাজ তারা।
জাফরুল্লাহর এ ধরনের বক্তব্য প্রসঙ্গে সম্প্রতি ময়মনসিংহ বিভাগে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপির কেউ নন। তিনি যা বলেছেন, তা তার নিজস্ব বক্তব্য। নির্বাচন বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন।
এ বিষয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপির অনুষ্ঠানে এসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দল সম্পর্কে যা খুশি তা বলবে, এটা হতে পারে না। তার কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। তিনি আসলে কাদের হয়ে কাজ করছেন, এ প্রশ্নও উঠেছে।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, সার্চ কমিটিতে নাম দেওয়া এবং ইসি গঠনের পর ইতিবাচক মন্তব্য করায় ডা. জাফরুল্লাহর ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপি। এ অবস্থায় দলের হাইকমান্ড জাফরুল্লাহকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির কোনো অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ না জানানো এবং উনি কোনো অনুষ্ঠানে থাকলে সেখানে নেতাকর্মীদের না যেতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে দলের মহাসচিব। ইসি নিয়ে তার ভূমিকার পর জাফরুল্লাহকে পুরোপুরি বর্জন করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকেও।