শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খালেদা-তারেক অংশ নিতে পারবে না বলে বিএনপি নির্বাচনই চায় না: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০:০৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রোববার

খালেদা-তারেক-অংশ-নিতে-পারবে-না-বলে-বিএনপি-নির্বাচনই-চায়-না-তথ্যমন্ত্রী

খালেদা-তারেক-অংশ-নিতে-পারবে-না-বলে-বিএনপি-নির্বাচনই-চায়-না-তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়া ও তারেক অংশ নিতে পারবেন না বলে বিএনপি নির্বাচনই চায় না।

তিনি বলেন, আদালতে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বিধায় বিএনপি শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, নির্বাচনই চায় না। তারা বরং চোরাপথে কিছু করা যায় কিনা সে চেষ্টায় রয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে নিজ সরকারি বাসভবনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। 

হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন এবং যে প্রক্রিয়ায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, বহু পুরনো গণতন্ত্রের দেশেও এটি করা হয় না। অত্যন্ত স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব, যারা অতীতে অত্যন্ত সফলভাবে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে এবং বলিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের নিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। 

তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সবচেয়ে বড় কথা কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ প্রস্তাব করেছিলেন। সেখান থেকেই তার নামটা এসেছে এবং এজন্য জাফরুল্লাহ সাহেব অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম, তিনি কেনো কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম প্রস্তাব করেছেন সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এবং বিএনপিসহ সবারই এই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা উচিত, সেই আহ্বান জানিয়েছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, সবাইকে নিয়ে দেশে তিনি একটি অর্থবহ নির্বাচন করতে চান।

সাম্প্রতিক ভারত সফরকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার আগরতলা ও আসামের গুয়াহাটিতে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনের পাশাপাশি আসামের রাজ্যপাল এবং ত্রিপুরা ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীদের সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল, সড়ক, নৌ ও বিমান পথে যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক উপাদান আদান-প্রদান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাস্তবায়নাধীন বহু প্রকল্প অনেক দূর এগিয়েছে। 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ত্রিপুরা ও আসাম রাজ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারলে তারা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি আমাদের অর্থনীতিও ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।