শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চিকিৎসার অজুহাতে ভারত সফরে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রোববার

চিকিৎসার-অজুহাতে-ভারত-সফরে-যাচ্ছেন-বিএনপি-নেতারা

চিকিৎসার-অজুহাতে-ভারত-সফরে-যাচ্ছেন-বিএনপি-নেতারা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ভারত সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে তারা এবার চিকিৎসার অজুহাতের কথা বলে ভারতে যাচ্ছেন বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আগামী এক মাসের মধ্যে বিএনপির যে সমস্ত নেতাদের ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তার ছেলে তাবিথ আউয়াল।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, প্রতিবার নির্বাচনে দেখা যায় যে, ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। সেই জন্য বিএনপি ভারতের সমর্থন এবং সহানুভূতি আদায়ের জন্য ভারত সফর করছেন? নাকি এই সফর শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা চমক সৃষ্টির জন্য? এমন প্রশ্ন রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। ২০১৮ তে বিএনপি নেতারা ভারত সফর করে বিজেপির বিভিন্ন থিংক ট্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

আরো পড়ুন> ঢাবি হল শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ

সেখানে বিএনপি নেতাদেরকে সুস্পষ্ট কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি সেই শর্তগুলো মানেনি। এসব শর্তের মধ্যে ছিল, জামায়াতের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেয়া, তারেক জিয়ার নেতৃত্বে না থাকা ও কোনো বিতর্কিত মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দেওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিষয়গুলোর দিকে কর্ণপাত করেনি বিএনপি। 

তবে এবারের নির্বাচনে বিএনপি ২০১৮ এর পথে যাবে না বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে অনেকের মধ্যে সংশয় রয়েছে। কিন্তু এই সংশয়ের মধ্যেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মৃতপ্রায়। দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। বিএনপিও অংশগ্রহণ করবে।

এখন আবার বিএনপি নেতারা ভারত সফরে যাচ্ছেন। এটি কি আওয়ামী লীগ নেতাদের সফরের পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যই? নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে চলছে নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ।