শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মির্জা ফখরুল-অলি

প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

দেশের-বিরুদ্ধে-ষড়যন্ত্রে-লিপ্ত-মির্জা-ফখরুল-অলি

দেশের-বিরুদ্ধে-ষড়যন্ত্রে-লিপ্ত-মির্জা-ফখরুল-অলি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গোপন বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি।

এরই মধ্যে অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে দলের নেতারা বৈঠকে বসেছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই অংশ হিসেবে গত রোববার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে।

আরো পড়ুন>>> নির্বাচন কমিশনের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন হবে: আব্দুর রহমান

রাতে অলির মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার ঐ অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ। 

বৈঠকের কথা এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ স্বীকার করলেও এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি। 

সূত্র জানায়, বৈঠকে দীর্ঘদিনের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। আগামী দিনে একসঙ্গে পথ চলার বিষয়ে দুই দলের নেতারাই অঙ্গীকার করেছেন। বিএনপি নেতারা আন্দোলন ও বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে অলি আহমদের পরামর্শসহ সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনিও আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতাদের। 

এছাড়াও এলডিপির আরেক অংশকে ২০ দলে স্বীকৃতি না দেওয়ার দাবি জানান অলি আহমদ। জবাবে বিএনপি নেতারা তাকে কথা দেন, বিষয়টি সমাধান করবেন তারা। 

বৈঠক সূত্র জানায়, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন অলি আহমদ। 

তবে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিএনপি নেতাদের জানান, এটি বাস্তবায়ন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এর চেয়ে এখনই জাতীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করা উচিত। দীর্ঘ সময় ধরে চলা বৈঠকে অতীতের বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে স্মৃতিচারণ করেন দুই দলের নেতারা। 

এর আগে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ওপর নাখোশ ছিল ২০ দলের শরিকরা। সে সময় এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বে ‘জাতীয় মুক্তিমঞ্চ’ নামের বিকল্প জোটও গঠন করা হয়। পরে এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে অলির দূরত্ব সৃষ্টি হয়। পরে এলডিপির একটি অংশ বেরিয়ে গেলেও দুই অংশই ২০ দলীয় জোটে থেকে যায়। সে সময় এলডিপির ভাঙন নিয়ে বিএনপির ওপর আরো ক্ষুব্ধ হন অলি আহমদ।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপি তৈরি হয়েছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস করে না। সব সময় ষড়যন্ত্র ও পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে চায়। সম্প্রতি সরকার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের গোপন বৈঠক তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। এটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের শামিল বলেও জানান তারা।