শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অস্বচ্ছ নির্বাচনের প্রবর্তনকারীরাই স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলছে: আমির হোসেন আমু

প্রকাশিত : ০৯:০৫ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

অস্বচ্ছ-নির্বাচনের-প্রবর্তনকারীরাই-স্বচ্ছ-নির্বাচনের-কথা-বলছে-আমির-হোসেন-আমু

অস্বচ্ছ-নির্বাচনের-প্রবর্তনকারীরাই-স্বচ্ছ-নির্বাচনের-কথা-বলছে-আমির-হোসেন-আমু

আজকে যারা স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলছেন তারাই দেশে অস্বচ্ছ নির্বাচনের প্রবর্তন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

বুধবার একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, আমাদের সংবিধানে সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সুযোগ নেই। যেহেতু বিএনপি করেছে তাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দিতে দল গঠনের মাধ্যমে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিতে নির্বাচনের নামে ব্যালট বা্ক্স ছিনতাই, কেন্দ্র দখলসহ নির্বাচন পদ্ধতিকে বিধ্বস্ত করেছিল তারাই।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে ১ কোটি ২০ লাখ ফলস ভোট, ইয়াজ উদ্দিন আহমেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও নিজেদের পছন্দের লোককে নির্বাচন কমিশন এর প্রধান করতে গিয়ে জনবিস্ফোরণে পতন হয়েছিল বিএনপির। 

তিনি বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন হলেও দেখা যাবে তা বিএনপির অন্য নেতাদের পছন্দ হবে না।

ভাষা আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন অবদানের কথা স্মরণ করেন আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, আমাদের এই ভাষার জন্য আন্দোলন ছিল জাতিসত্ত্বার আন্দোলন। এটি বঙ্গবন্ধু ধারণ করেছিলেন। প্রতিটি ধাপে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যাদের নাম সংযুক্ত আছে ভাষা আন্দোলনে, যারা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন, তারা কিন্তু সেটাকে ধারণ করতে পারেননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেটা ধারণ করে ধাপে ধাপে জাতীয়তাবাদকে শাণিত করে পরবর্তী সময়ে ছয় দফা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটি ব্যুরোর সদস্য, অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি এসকে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের নেতারা।