মারমারা, এ যেন পাখিদের সাম্রাজ্য
প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
মারমারা-এ-যেন-পাখিদের-সাম্রাজ্য
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ঘুরতে আসে। এখানকার পাখিগুলো যেন মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরে পরিচিত। পাখি আর মানুষের আচরণই বলে দেয় তারা একে অপরের কতোটা আপন।
পর্যটকরা একেবারেই কাছে এসে বসে পাখিগুলোর। তবুও ওরা উড়ে যায় না। আবার অনেক পাখিপ্রেমী মানুষ তাদের জন্য খাবার নিয়ে আসে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সেবা করা হয় বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
পাখিগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। এমন হাজারো পাখিপ্রেমী রয়েছে যারা প্রতিদিন সকাল, বিকেল ও দুপুরে খাবার নিয়ে সৈকতে আসেন। তাদের দেখলে পাখিগুলো বুঝতে পারে যে তাদের খাবার চলে এসেছে।
আরো পড়ুন : চোখ ধাঁধানো দুবাই
এ ছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের শতশত মানুষ ঘুরতে আসেন এখানে। ইরান থেকেই এখানে বেশি পর্যটক ঘুরতে আসে। কেন্দ্রটির পাশেই রয়েছে অসংখ্য থাকার হোটেল। ভ্রমণপিপাসুরা এসব হোটেলে প্রতিদিন ভিড় করেন। কিন্তু দর্শনার্থীদের ভিড়ে হোটেলগুলোতে কমপক্ষে ১৫ দিন থেকে একমাস আগে বুকিং দিতে হয়।
শুধু পাখি নয়, সৈকতে বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীরও দেখা মিলবে। নদীর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্রুজ জাহাজ। যেগুলো দিয়ে যাত্রীরা সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। এই মারমারা সমুদ্রসৈকতের পাশেই রয়েছে ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া মসজিদ। সেটি দেখতেও ছুটে যাচ্ছে পর্যটকরা।
প্রতিদিন শত শত যাত্রী এখানে ভিড় করতে দেখা যায়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় স্থানটি দৃষ্টিনন্দন সাজে সেজে ওঠে।
আরো পড়ুন : স্টোনহেঞ্জ : যেখানে দেখা মিলবে অপরূপ সূর্যাস্তের