জাতীয় দিবস পালনে অনীহা তারেকের
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার
জাতীয়-দিবস-পালনে-অনীহা-তারেকের
লন্ডন ভিত্তিক একাধিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে নিজেকে বাংলাদেশি দাবি করেও প্রতিটি জাতীয় দিবস পালনেই অনীহা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।
জানা গেছে, ইস্ট লন্ডনের আলতাব আলী পার্কসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ৮টি শহিদ মিনার রয়েছে। কিন্তু এক যুগেরও বেশি সময় থেকে লন্ডনে বসবাস করে আসা তারেক রহমান সেখানকার কোনো শহিদ মিনারেই যান না।
গত বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় এবারের ২১ ফেব্রুয়ারিতেও ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহিদ মিনারে যাননি তারেক রহমান।
যদিও জাতীয় দিবস পালন করা বাদ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। বাইরে বাংলাদেশি সাজার অভিনয় করলেও দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি তারেক রহমানের কোনো শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নেই। এমনকি তারেক রহমানের স্ত্রী ও কন্যারও দেশের কোনো জাতীয় অনুষ্ঠানে দেখা যায় না বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন> নেতৃত্বের ব্যর্থতায় অস্থির বিএনপি
বিদেশে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে তারেকের এমন অবহেলা ও অবজ্ঞার কারণে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে প্রায়শই বাঙালি কমিউনিটির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
তারেক রহমানের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে খোদ যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিককেও একাধিকবার বাঙালিদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে।
নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে রাতে বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয়ও দেখা মিলে তারেকের। দলীয় নেতাকর্মীদের পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলোতে তার সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কিন্তু জাতীয় দিবসে তারেকের কোনো আগ্রহ নেই। তারেক রহমানের এমন স্বদেশবিরোধী আচরণের কারণে যুক্তরাজ্যের মতো দেশে বিএনপি বিতর্কিত হচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন খোদ দলটির নেতৃবৃন্দ। কিন্তু পদ হারানোর ভয়ে কেউ তারেকের এমন বৈরী আচরণের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেন না বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক নেতা বলেন, তারেক রহমানের রাজনৈতিক জীবনে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মুজাহিদের প্রভাব ছিল প্রবল। এমনকি মুজাহিদ তারেক রহমানের অলিখিত রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। সেই প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে তিনি এখন আর বাংলাদেশি অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। এজন্যই জাতীয় দিবসগুলোতে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি সম্মান জানান না তারেক রহমান।