নেতৃত্বের ব্যর্থতায় অস্থির বিএনপি
প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রোববার
নেতৃত্বের-ব্যর্থতায়-অস্থির-বিএনপি
এছাড়া দলটির রাজনৈতিক দৈন্যদশায় প্রশ্ন উঠছে, আগামীতে কি বিএনপি জনগণের দল হিসেবে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? ব্যর্থতা ও দুর্নীতির অভিশাপ মোচন করে বিএনপি কি পারবে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে?
জানা গেছে, এমন সব প্রশ্নে প্রতিনিয়ত জর্জরিত হচ্ছেন বিএনপি নেতারা। তারা এসব প্রশ্নের সদুত্তরও দিতে পারছেন না। বিএনপির এমন হঠাৎ ছন্দপতনের কারণ খুঁজতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছে দলটির হাইকমান্ড।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজেদের রাজপথের বিরোধী দল দাবি করলেও বিগত ৫ বছরে রাজপথকেন্দ্রিক কোনো কর্মসূচি পালন করেনি বিএনপি।
জনস্বার্থ তো দূরের কথা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যও দলটির নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে পারছেন না। প্রেসক্লাব আর বিভিন্ন হলরুমকেন্দ্রিক চলে তাদের কর্মসূচি। বলা যায়, দুইবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বিএনপি এখন ঘরোয়া পার্টিতে পরিণত হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির বর্তমান দুরবস্থার পেছনে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও নেতাদের ব্যর্থতার পাশাপাশি কিছু বুদ্ধিজীবীও দায়ী। বিএনপিপন্থী এসব বুদ্ধিজীবী মাঝেমধ্যে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিভ্রান্তমূলক পরামর্শ দেন।
বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রয়াত এমাজউদ্দিন আহমদ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরামর্শে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই আজ দলের এ করুণ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দলটির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
২০১৪ সালের পর থেকেই বিএনপির পতন শুরু হয়। বিএনপির এ পতনে কাজ করেছেন বুদ্ধিজীবীরা। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের ধার করা বুদ্ধিতে চলতে গিয়ে বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছেন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান- এমনটাই মনে করেন বিএনপির ত্যাগী নেতারা।
তারা মনে করেন, অন্যের বুদ্ধি ধার করে চলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। মূলত প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক শিক্ষার অভাবের কারণে তারা পরনির্ভরশীল। এর ফলে আজ দলের এ অবস্থা। একদল চাটুকারদের কারণে খালেদা জিয়ার বিএনপি আজ ব্যর্থ দলে পরিণত হয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অশিক্ষা-অনভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে চাটুকার কিছু নেতা বিএনপিকে এতদিন ভুল পথে পরিচালিত করেছেন। সেসব ভুলের মাশুল দিতে হচ্ছে বিএনপিকে।