ভ্রমণ ফিচার লেখার কিছু টিপস
প্রকাশিত : ০৬:৫৫ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার
ভ্রমণ-ফিচার-লেখার-কিছু-টিপস
তাই অন্যকে ভ্রমণে প্রভাবিত করতে ভ্রমণ ফিচারের জুড়ি নেই। আর সেই ফিচারটি যদি গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়, তবে তা সহজেই পৌঁছে যেতে পারে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে। এ ছাড়াও ব্লগ, ম্যাগাজিন বা অন্য কোথাও ছাপানো না হলেও নিজের ডায়েরিতে তুলে রাখতে পারেন।
কিছু ধাপ মেনে ভ্রমণ ফিচার লিখলে লেখাটি হবে আকর্ষণীয় ও পাঠকপ্রিয়। তাই আজ জেনে নিন ভ্রমণ ফিচার লেখার কিছু টিপস।
পরিষ্কার কাহিনীসূত্র:
ভ্রমণ কেবল একটি গল্প হতে পারে না। বরং ঘটনা দৃশ্যায়নের সাক্ষ্যও হতে পারে। কোনো কোনো ঘটনা মজার আবার কোনো ঘটনা কষ্টেরও হতে পারে। লেখার সময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কোন কোন ঘটনা আপনি বলতে চান। চিন্তা করে নিন, কোন ঘটনা গল্পে তুলে ধরবেন। সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও ওয়েবসাইটে কোন ধরনের ভ্রমণ কাহিনী প্রকাশ হয় দেখে নিতে পারেন। প্রথমে নিজের মতো করেই লিখে ফেলুন। পরে তা প্রয়োজনমতো সম্পাদনা ও সংক্ষিপ্ত করুন।
লক্ষ্য:
কিছু ভ্রমণের কিছু বর্ণনা- যেমন পর্বতের চূড়ায় ওঠা, বিশাল নদী পার হওয়া ও বাঘ দেখা ইত্যাদি কাহিনীকে নির্দেশনা দেয়। এসব ফিচারে পাঠক গল্পের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লেগে থাকে। কারণ, তারা জানতে চায় লক্ষ্য অর্জিত হবে কি না বা শেষটা কি।
অভিজ্ঞতার কাঁটছাঁট:
ফিচারে কথোপকথন, গতি, উদ্বেগ ও নাটকীয়তা থাকে। এ উপকরণগুলো পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার মতো করে সাজাতে হবে। ভ্রমণ কাহিনী এক থেকে দুই হাজার শব্দের মধ্যে লিখুন। প্যারা থাকবে ১০-২০টি।
প্রথম প্যারা হবে আকর্ষণীয়:
পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে এমন কোনো ঘটনা দিয়ে শুরু করতে পারেন। কোনো নাটকীয় ঘটনা, কৌতুক, কথোপকথন বা এই তিনের সমন্বয়েও কাহিনী শুরু করা যায়। তবে প্রথম বাক্যে পাঠক ধরার ফাঁদ থাকতে হবে।
কথোপকথন:
কথোপকথন ঘটনাস্থলকে জীবন্ত করে। ভ্রমণ সঙ্গীদের ব্যক্তিত্বকে গল্পে জায়গা দিন। কথোপথনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গল্পে তুলে ধরতে পারেন। যখন আপনি ঘুরতে যান সেখানকার লোকজন কী বলছে ও কীভাবে বলছে তার নোট নিতে পারেন।
দেখানো ও বলা:
প্রত্যেক গল্পেই দেখানো ও বলা দুটো কৌশলই ব্যবহার করতে পারেন। কোনো চিন্তা না করেই আপনি এই কৌশল ব্যবহার করতে পারেন। যখন আপনার ঘটনার গতি কমিয়ে দেবেন এবং কোনো দৃশ্যের বিস্তর বর্ণনা দেবেন তখন তাকে দেখানো বলা হয়। আপনি কী দেখেছেন, শুনেছেন, অনুভব করেছেন- সেগুলো পাঠককে আপনার চোখ দিয়ে দেখাচ্ছেন। ঘটনার সঙ্গে বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে বলা।
আনন্দ দেওয়া, প্রভাবিত করা নয়:
নতুন লেখকরা প্রায়ই সাহিত্যিক ভাষায় লেখার চেষ্টা করেন। তবে পাঠকের অবোধ্য কিছু লিখবেন না।
স্পষ্ট ভাষা:
ভ্রমণ কাহিনীতে সাধারণত অর্থপূর্ণ শব্দ ও বাক্যাংশ থাকে। সুনির্দিষ্ট কোনো ভাষা ব্যবহারের চেষ্টা করুন। যে ভাষায় আপনি বর্ণনা করছেন সেটা যেন পাঠকের মনের চোখে ছবির মতো ফুটে উঠে।
পথ নির্দেশ:
নতুন কোনো জায়গা বা দেশে ঘুরতে গেলে গাইডবই না নিয়ে গেলে সাধারণত পথ নির্দেশক ফলক অনুসরণ করা হয়। আপনার গল্পের মাধ্যমে পাঠকও সেই জায়গা ভ্রমণ করেন। প্রত্যেক প্যারাতে তাদেরকে জানিয়ে রাখুন এরপর আপনি কোথায় যাচ্ছেন। আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্য তাদের মনে করিয়ে দিন।
লেখা শেষ করতে সময় নিন:
অধিকাংশ ভ্রমণ কাহিনীই দ্রুতগতির ট্রেনে হঠাৎ ব্রেক কষার মতো করে শেষ হয়। পড়া শেষে পাঠক দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েন। তাই শেষ প্যারাটি লেখার ক্ষেত্রে সময় নিন।