জিয়া পরিবার থেকে বের হতে চায় বিএনপি
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
জিয়া-পরিবার থেকে-বের-হতে-চায়-বিএনপি
সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া নিজেই শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং তিনি দলের কর্মকাণ্ডে থাকছেন না। দল পরিচালনায় তার কোনো ভূমিকাও নেই। আর সে কারণেই তিনি দলে থাকল কি, থাকল না সেটি বড় বিষয় নয়। খালেদা জিয়াকে অলংকারিক প্রধান হিসেবে রাখা হবে এবং তিনি শুধু নামমাত্র দলের দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে, তারেক জিয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একটা নেতিবাচক ধারণা রয়েছে এবং তার নেতৃত্ব মেনে নিতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বাংলাদেশেও সাধারণ জনগণের মধ্যে তারেক জিয়ার ব্যাপারে একটি নেতিবাচক ইমেজ রয়েছে। আর এই কারণেই শেষ পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্ব তারেক জিয়াকে ছাড়তে হবে এবং এটি নিয়ে বিএনপিতে এখন নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো জানাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়া যদি বিএনপির দায়িত্ব থেকে নিষ্ক্রিয় হন বা দায়িত্ব ছেড়ে দেন, সেক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপিতে জনপ্রিয় নেতা এবং বিএনপির মধ্যে তার একটা ভালো গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
এছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপিতে বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যে সমন্বয় এবং সমঝোতা করার কাজটা ভালোভাবে করতে পারেন বলেই অনেকে মনে করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করার জন্য একটি মহল তৎপর ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোও এই তৎপরতায় যুক্ত হয়েছে। তারা মনে করছে, এখন তারেক বা খালেদা জিয়া নয়, বিএনপিতে একজন সক্রিয় নেতা দরকার যিনি দলকে গোছাতে পারবেন। আর সেভাবেই ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নামটি সামনে চলে আসছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ড. মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে থাকতে পারেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। সেখানে ইকবাল মাহমুদ টুকুসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা থাকবেন। তবে বিএনপির কেউ কেউ মনে করছেন, জিয়া পরিবারের বাইরে কেউ নেতৃত্ব নিলে সেটি মেনে নেয়া হবে না। সেটি ষড়যন্ত্র হিসেবে গণ্য করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন নেতা বলেন, মান্নান ভূঁইয়া আর জেনারেল মাহবুবকে দিয়ে বিএনপিকে ভাঙার একটা চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি। এবারো সেই চেষ্টা সফল হবে না। তবে এই চেষ্টা সফল হোক না হোক সেটা পরের বিষয়, বিএনপিতে যে একটি টানাপোড়েন চলছে এটা মোটামুটি নিশ্চিত।