শেষ সপ্তাহে তিন জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন
প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
শেষ-সপ্তাহে-তিন-জেলায়-আওয়ামী-লীগের-সম্মেলন
২১ ফেব্রুয়ারি পরে এ কার্যক্রম আরো বেগবান করার কথা বলছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
জানা গেছে, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে এসব জেলায় চিঠি ইস্যু করে। সে অনুযায়ী আগামী ১৯, ২০ ফেব্রুয়ারি পাবনা ও সিরাজগঞ্জ, ২৮ ফেব্রুয়ারি নাটোর জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এরই মধ্যে দলের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সাংগঠনিক জেলা, উপজেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে দলীয় কার্যক্রম নিয়ে বৈঠক করে নির্দেশনাও দিয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের সভাপতি নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন করে সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা দিয়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনী প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এর লক্ষেই এ বছরে মেয়াদোত্তীর্ণ কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন ছাড়াও আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলা, পৌরসভা সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে ঢেলে সাজাতে চায়।
বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বৈঠক সূত্রে আরো জানা গেছে, দলের মধ্যে থেকে যেসব নেতাকর্মী বিভিন্ন নির্বাচনে দলের নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করেছে ও বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের শিরোনাম হয়েছে এবং দলে থেকে যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের উদ্দেশ্য করে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। দলের নিয়ম নীতি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে যাদের শোকজ করা হয়েছে এবং শোকজ চিঠিতে যাদের উত্তর সন্তোষজনক না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আর যাদের বহিষ্কারাদেশ রয়েছে, এ আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা দলের কোনো পদে আসতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর নাটোর, ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পাবনা এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন হলো দলের নিয়মিত কাজের একটা অংশ। তবে জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা কাজ করছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন করে দল সাজানো হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, করোনার কারণে আওয়ামী লীগের জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির ছিলো। এখন আবার করোনা কাটিয়ে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। চলতি মাসেই তিন জেলার সম্মেলন করা হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা নতুন করে ঐক্যবদ্ধ হবে।