শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাফরুল্লাহর মাধ্যমে নাম প্রস্তাব করেছে বিএনপি: মাহবুব উল আলম হানিফ

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

জাফরুল্লাহর-মাধ্যমে-নাম-প্রস্তাব-করেছে-বিএনপি-মাহবুব-উল-আলম-হানিফ

জাফরুল্লাহর-মাধ্যমে-নাম-প্রস্তাব-করেছে-বিএনপি-মাহবুব-উল-আলম-হানিফ

নির্বাচন কমিশন গঠনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মাধ্যমে বিএনপি সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে তারা সার্চ কমিটিতে নাম দেবে না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব কার? আমরা তো জানতাম তিনি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা। তিনি যদি নাম দেন, সেই নামটা বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না? আমরা তো সেটা বলতে পারি।

বুধবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মাহবুব উল আলম হানিফ।

ডা. জাফরুল্লাহর নাম প্রস্তাবকে বিএনপির ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার ভাষ্যে, ‘বিএনপি সকালে এক কথা বলে, বিকেলে এক কথা বলে’।

বিএনপি নাম না দেওয়ায় নতুন কমিশন কি প্রশ্নবিদ্ধ হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, কেন প্রশ্নবিদ্ধ হবে? কোনো একটি দল নাম দিলো কি দিলো না, এই জন্য কি নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হবে? বিএনপি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তারা কার সঙ্গে আলাপ করে কমিশন গঠন করেছিল? কারো সঙ্গে আলাপ করেনি। খালেদা জিয়া নাম পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে কমিশন গঠন করেছিলেন।

হানিফ বলেন, এখন তো আইনও করা হয়েছে। সেইমতো কমিশন গঠন করা হবে। তারপরও এটা নিয়ে যদি কেউ প্রশ্ন করে বুঝতে হবে তারা দেশের নির্বাচন ও রাজনীতিকে সুষ্ঠু দেখতে চায় না। যারা রাজনীতিকে সব সময়ই একটি অস্বস্তিকর ও বিভ্রান্তিকর রাখতে চায়, তারাই এই ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারে।

আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত নামের বাইর থেকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ হলে দলটি সাধুবাদ জানাবে বলে জানান হানিফ।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নাম বাছাই করা সার্চ কমিটির এখতিয়ার। তারা প্রস্তাবিত নাম থেকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে। সেই নাম আমাদের থেকে দেওয়া হোক বা না হোক, একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠনই কাম্য। সেটাই আমরা প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি যখন সংলাপ ডেকেছিলেন তখন বিএনপি বলেছে আমরা আইন চাই। সেই সময় আমাদের আইনমন্ত্রী বলেছিলেন নির্বাচন কমিশন আইন দ্রুত করা কঠিন হয়ে যাবে। বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, সরকার চাইলে একদিনেই আইন করতে পারবে। এই আইন সংসদে পাস হওয়ার আগে আলোচনায় তাদের (বিএনপি) দলীয় সাংসদরা মতামত দিয়েছিলেন।

এই বিলটা সর্বজনীনভাবে গৃহীত হয়েছে। এখন তারা বলছে, সরকার তড়িঘড়ি করে বিল পাস করেছে। এটা দুরভিসন্ধিমূলক। এটা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য। সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের রাজনীতি।