ছাড়া পেলেন মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার সাবেক বাংলাদেশি কূটনীতিক
প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার
ছাড়া-পেলেন-মালয়েশিয়ায়-গ্রেফতার-সাবেক-বাংলাদেশি-কূটনীতিক
গত ১০ ফেব্রুয়ারি আটক করার ৬ দিন পর তাকে মুক্তি দেওয়া হল। তিনি বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলার একজন আসামি।
বুধবার বিকেলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার আইনজীবী নগিও চৌ ইং তার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চৌ ইং বলেন, খায়রুজ্জামানকে পুত্রজায়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ডিপো সদর দফতর থেকে স্থানীয় সময় আজ বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি এরই মধ্যে বাড়িতে চলে গেছেন এবং তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
তাকে আটকের পর ১০ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন বলেন, মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে আইনগতভাবেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান শরণার্থী হিসেবে গত কয়েক বছর ধরেই মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি আমপাংয়ে তার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আদেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট।
আরো পড়ুন> খায়রুজ্জামানকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
খায়রুজ্জামান দীর্ঘ ১ দশকেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়।
দেশে ফিরে আসা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং মালয়েশিয়ায় থেকে যান।
ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলার আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
১৯৯৬ সালে খায়রুজ্জামান ঐ মামলায় বিনা বিচারেই ৪ বছর কারাগারে ছিলেন। বিএনপি জামায়াত-জোট সরকারের সময় তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে চাকরিতে নিযুক্ত হন।
শরণার্থী কার্ডে গত প্রায় এক যুগ ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা খায়রুজ্জামানকে গত বুধবার অভিবাসন আইনে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ। গ্রেফতারের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
খায়রুজ্জামানের গ্রেফতারের পর সামনে এসেছে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের জেলহত্যা মামলার বিষয়টি।