শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সার্চ কমিটি নিয়ে অপরাজনীতি করছে বিএনপি

প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

সার্চ-কমিটি-নিয়ে-অপরাজনীতি-করছে-বিএনপি

সার্চ-কমিটি-নিয়ে-অপরাজনীতি-করছে-বিএনপি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সাংবিধানিক বিধান ও আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলেও সার্চ কমিটি নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতির মাঠে চরম ব্যর্থ বিএনপি এখন নিজেদের হতাশা ও নিরাশার মাপকাঠিতে জনপ্রত্যাশা পরিমাপের ব্যর্থ চেষ্টায় নিমজ্জিত। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং জনগণের মতামতকে তোয়াক্কা না করার যে ভ্রষ্ট নীতি গ্রহণ করেছে, তা গণতান্ত্রিক রাজনীতির পরিপন্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদ্য বহিষ্কৃত একজন বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপি সব সময় গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি ও আইনি কাঠামোর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। তাই অনুসন্ধান কমিটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন তারা। শুধু নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য জাতিকে বিভ্রান্ত করতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো নেতা বরাবরের মতো নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে চলেছেন। লন্ডন থেকে যা বলা হচ্ছে, তোতা পাখির মতো তিনি তাই বলছেন।

তিনি আরো বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চেয়ে দলীয় ও গোষ্ঠী স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করে বিএনপি। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

আরো পড়ুন>>> গণবিরোধী রাজনীতি করছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

এদিকে একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন খালেদা জিয়াকে ফোন করেছিলেন তখন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কি আচরণ করেছিলেন দেশবাসী তা ভুলে যায়নি। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণের ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য তখন বিএনপিকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সংবিধানের মূল চেতনায় সমুন্নত গণতান্ত্রিক রীতি বাস্তবায়ন এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির সে আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিএনপি।

উপরন্তু তারা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের মূল এজেন্ডা ছিল যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে সুরক্ষা দেওয়া। যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচন বর্জন এবং আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্র বিকাশের পথকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র বিএনপি সেদিন শুরু করেছিল, তারই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আজও তারা গণতন্ত্রের রীতিনীতিকে বর্জন ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতির ভুল ট্রেনে ওঠা বিএনপি নেতারা এখন পরিত্যক্ত প্ল্যাটফর্মের অন্ধকার বগির দিশেহারা যাত্রীর মতো প্রলাপ বকছে। সরকারের যেকোনো কাজের বিরোধিতা বিএনপির জন্য নতুন কোনো বিষয় নয়। সব সময়ই সরকারের যেকোনো কাজের বিরোধিতা করে তারা। কিন্তু তাদের এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।