বহিষ্কৃতরা দলের কোনো পদে নয়: আওয়ামী লীগ
প্রকাশিত : ০৩:০৫ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার
বহিষ্কৃতরা-দলের-কোনো-পদে-নয়-আওয়ামী-লীগ
বুধবার খুলনা বিভাগের অন্তর্গত সাংগঠনিক জেলা, উপজেলা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভিন জামান কল্পনা ও অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, দলের নিয়ম নীতি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে যাদের শোকজ করা হয়েছে, তাদের উত্তর সন্তোষজনক না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাদের বহিষ্কারাদেশ রয়েছে, এই আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা দলে কোনো পদে আসতে পারবেন না।
নেতারা আরো বলেন, এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সভা হয়েছে৷ আমাদের নেত্রী সেখানে কিছু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই দিক নির্দেশনার আলোকে আজকের এই ভার্চুয়াল সভা। আমাদের মূল লক্ষ্যটা হচ্ছে- তৃণমূল পর্যায়ে সভাপতি নেত্রীর নির্দেশনা ছিল সম্মেলন করা, সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানো, তা বাস্তবায়ন করা।
আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলেন, যারা দলের নির্দেশনা মানেন না, তাদের বিষয়ে তো আমাদের আগে থেকেই নির্দেশনা আছে। যারা বহিষ্কার হয়েছেন, সাময়িক বহিষ্কার হয়েছেন, শোকজ পেয়েছেন, এসব নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে নেতৃত্বে আনা যাবে না। এ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে দলকে গণমুখী করতে হবে।
‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, যাতে দলের নতুন নেতৃত্বের ওপর জনগণের প্রত্যাশার জায়গাটা আরো শক্তিশালী হয়, সুদৃঢ় হয়। এ লক্ষ্যে দলকে সম্মেলন করতে হবে। যাদেরকে শোকজ করা হয়েছে তাদের নেতৃত্বে আনার সুযোগ নেই। কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে তারা আসতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি হতে পারবেন না। যাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে তাদের জায়গা দেওয়ার সুযোগ আছে, কিন্তু সেটা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়ার পর। এর আগে তাদেরকে কোনো জায়গায় আনা যাবে না।’
তারা বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কারণে সাংগঠনিক অনেক কাজ করা সম্ভব হয়নি। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর সাংগঠিক কার্যক্রম গতিশীল হবে।
‘খুলনা বিভাগের চার জেলায় সম্মেলন বাকি আছে। বাকি আটটি জেলায় সাংগঠনিক সম্মেলন হলেও অনেক উপজেলা সম্মেলন বাকি আছে। আগামী তিন মাসে অর্থাৎ মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসের মধ্যে সবগুলো সম্পন্ন করা হবে। রোজার মাসেও কিছু উপজেলার সম্মেলন হবে।’
আওয়ামী লীগ নেতারা আরো জানান, তিন মাসের মধ্যে খুলনা বিভাগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলন করে তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত রি-অরগানাইজ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এটা আমাদের পরিকল্পনা।