চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা, দুইজন রিমান্ডে
প্রকাশিত : ০৫:১৫ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার
চট্টগ্রামে-বিচারকের-ওপর-হামলা-দুইজন রিমান্ডে
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সাদ্দাম হোসেন এ আদেশ দেন।
রিমান্ডের বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, গ্রেফতার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল। শুনানি শেষে আদালত রানা মর্তুজাকে পাঁচদিন ও গাড়িচালক আব্দুর রহিমের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মাসুকা ও জিবানের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে সস্ত্রীক হামলার শিকার হন চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটনের এক ম্যাজিস্ট্রেট। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ বেলজিয়াম প্রবাসী রানা মর্তুজা, তার বোন মাসুকা সুলতানা ও জিবান সুলতানা এবং গাড়িচালক আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে। রানা মর্তুজার বোন মাসুকার স্বামী শিশির মাহমুদ এখনো পলাতক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ও আর নিজাম রোডে একটি কফি শপ থেকে বের হয়ে ওই ম্যাজিস্ট্রেট ও তার স্ত্রী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় একটি ব্যক্তিগত গাড়ি এসে পেছন থেকে বিচারককে ধাক্কা দেয়। তিনি প্রতিবাদ করলে গাড়ি থামিয়ে পাঁচজন নেমে আসেন। রানা মর্তুজাসহ আসামিরা বিচারকের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। বিচারক প্রতিবাদ করলে তার শার্টের কলার ধরে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন।
রানা মর্তুজার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জয় নারায়ণপুর গ্রামে। বাসা নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে। রানা বেলজিয়ামে থাকেন। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। তার দুই বোন মাসুকা ও জিবানের বাসা ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। তারা চট্টগ্রামে বেড়াতে এসেছিলেন।