অর্থলোভে জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়তে নারাজ তারেক
প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার
অর্থলোভে-জামায়াতে-ইসলামীকে-ছাড়তে-নারাজ-তারেক
নেতাদের অভিযোগ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পেছনে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে জামায়াতে ইসলামী। এজন্য তারেক রহমান স্বাধীনতাবিরোধী দলটির সঙ্গে জোট ভাঙতে অসম্মতি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম কিংবা সংগঠনের স্থবিরতা প্রতিরোধে জামায়াতে ইসলামীর কাছ থেকে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা পান দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে ২০০১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের সঙ্গে জোট বাধে বিএনপি। শুধুমাত্র জামায়াতের পেশিশক্তি ও অর্থ ব্যবহারের নামে বিরোধীদল দমনে জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গী করেন খালেদা জিয়া। এখনো ক্ষমতায় যেতে জামায়াতের প্রলোভনে পড়ে আছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। সেই জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে নানা আলোচনা হলেও অদৃশ্য কারণে দলটিকে ছাড়ছে না বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, অর্থ-বিত্ত ও ক্ষমতার ফাঁদে পড়ে জামায়াতকে ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না তারেক। তারা তারেক রহমানকে অভিভাবক মনে করে। তারেক রহমানও জামায়াতের ব্যাপারে রুষ্ট নন। তাই বিএনপি কখনোই জামায়াতকে ছাড়বে না।
লন্ডনভিত্তিক একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের রাজনীতিতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তারেক রহমান। সাজার কারণে খালেদা জিয়া রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। ফলে তারেক রহমানই এখন বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান নেতা। তার কারণেই জামায়াতে ইসলামী এখনো ২০ দলীয় জোটের সঙ্গী হয়ে থাকতে পারছে। তবে এর পেছনে কাজ করছে আর্থিক প্রলোভন।
সূত্র আরো জানায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকেই তারেককে জামায়াতের মুখপাত্র বলেই ব্যঙ্গ করেন। ইচ্ছে করলেই তারেক রহমান জামায়াত-শিবিরের খাঁচা থেকে বের হতে পারবেন না। তার পিছনে রয়েছে জামায়াত-শিবিরের বড় ধরনের বিনিয়োগ। দুর্নীতির টাকা নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করে তারেক যে পরিমাণ অর্থ পান তার চেয়ে বেশি অর্থ-সহযোগিতা পান জামায়াতের কাছ থেকে।
এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, তারেক রহমানের পেছনে বিনিয়োগ করে আগামীতে রাজনীতিতে ফিরতে চায় জামায়াত-শিবির। লন্ডনে বসবাসকারী জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তারেককে মাসোহারাও প্রদান করেন। এমনকি যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর যুক্তরাজ্যের সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশের মাসোহারা পান তারেক। বিএনপি যাতে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতকে বের করে না দেয়, সেজন্যই প্রতিমাসে বিপুল অঙ্কের অর্থ পান তারেক।