শনিবার   ১৬ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১ ১৪৩১   ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত : ০৮:০৫ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

সাংগঠনিক-কার্যক্রম-জোরদার-করতে-যাচ্ছে-আওয়ামী-লীগ

সাংগঠনিক-কার্যক্রম-জোরদার-করতে-যাচ্ছে-আওয়ামী-লীগ

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও  দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে যাচ্ছে ক্ষমতাশীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। 

এর ধারাবাহিকতায় বুধবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় খুলনা বিভাগের অন্তর্গত মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলার সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়। জেলা সম্মেলনের আগে জেলার অন্তর্গত মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলার সম্মেলন হবে। মাগুরা জেলার সকল উপজেলা ও জেলার সম্মেলন মার্চ মাসের মধ্যেই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লা বলেন, গণতন্ত্রকে যারা বিশ্বাস করে তাদের প্রথমে রয়েছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্রকে মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সাতজন কর্মকর্তার নামে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এটা নতুন কিছু না। এর আগেও তারা বহুবার এ কাজ করেছে। বাস্তবে আমাদের এটা বুঝতে হবে দেশের জনগণ এ বিষয়ে কি ভাবছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি জামায়াতের সব অপপ্রচারকে প্রতিহত করতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে প্রতিহত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। আমারা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করব। নিজেদের মধ্যে সব মতবিরোধ দূর করতে হবে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মলে বলেন, ইতিপূর্বে আমরা অনেকগুলো জেলায় বর্ধিত সভা করেছি। বর্ধিত সভা প্রথমে আমরা করেছিলাম মেহেরপুর জেলায়। সে সময় আমরা জেলার সব গুলো উপজেলায়ও সম্মেলনের ডেট ঠিক করে দিয়েছিলাম। এরপর মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা এবং ঝিনাইদহ জেলায় বর্ধিত সভা করে জেলা-উপজেলার সম্মেলনের ডেট ঠিক করি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সঠিক সময়ে কাউন্সিল করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আজকের সভায় ৪টি জেলার সম্মেলনের তারিখ  নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া যে ৭ জেলায় সম্মেলন ও কমিটি হয়েছে সেগুলোর মধ্যে যেসব উপজেলায় সম্মেলন বাকি আছে;  সেগুলোর তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি নতুন ৪টি জেলার সম্মেলন আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারব। আর ৭টি জেলার যে উপজেলা বাকি আছে সেগুলো এপ্রিল মাসে রমজানের আগে ও পরে সম্পন্ন করতে পারব।

সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, আমিরুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।