নাশকতার পরিকল্পনায় জেলায় জেলায় জামায়াতের ‘গোপন কমিটি’
প্রকাশিত : ০৪:০৫ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার
নাশকতার-পরিকল্পনায়-জেলায়-জেলায়-জামায়াতের-গোপন-কমিটি
দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরের দুটি বাসায় জামায়াতের নারী শাখার বৈঠক হয়েছে। যেখানে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সূত্রটির তথ্যমতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে আগের মতো আর কদর নেই জামায়াতের। তাই তো ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনেও কোণঠাসা করে রাখা হয় জোটের এই প্রধান মিত্র দলকে।
শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বলা হয়, সামনে আপনাদের পুষিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দিন-মাস-বছর পেরোলেও প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়ন করা হয় না, কিছুই দেখে না আলোর মুখ। সে কারণে জোটে অর্থায়নের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে দিতে শুরু করে জামায়াত।
এক পর্যায়ে যখন বুঝতে পারে, তাদের ব্যবহার করে নিজেদের ফায়দা লুটছে বিএনপি। তখনই জোট থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তে উপনীত হয় নিজামী-গোলাম আযমের দল।
আরো পড়ুন>>> চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বাড়বে: পরিকল্পনামন্ত্রী
কিন্তু অর্থলোভে জামায়াতকে ছাড়তে অসম্মতি জানান তারেক। বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশল পরিবর্তন করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক জোটে না গিয়ে নিজেরাই ‘পুরোনো বোতলে নতুন মদ’ হয়ে আলাদাভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার নতুন পরিকল্পনা সাজিয়েছে জামায়াত।
সেই কর্মধারায় অনেকদূর পর্যন্ত অগ্রসরও হয়েছে তারা। এরই মধ্যে নাশকতার মাধ্যমে ‘মরণ কামড়’ দিতে কর্মীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও মোটা অংকের সম্মানির ব্যবস্থা করে ৬৪ জেলায় ‘গোপন কমিটিও’ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এখানেই শেষ নয়, জামায়াতের নেতাকর্মী যারা বিদেশে আছেন তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করছে, যার কোনো সত্যতা নেই।
গোপন এক সূত্রে জানা গেছে, জামায়াত এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ঢাকাসহ সারাদেশেই নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। শুধু তাই নয়, কে কোথায় কাজ করবে, তার তালিকাও এরই মধ্যে করে ফেলেছে তারা। সে অনুযায়ী অগ্রসরও হচ্ছে, করছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও বৈঠক।
মাস দুয়েক আগে রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে জামায়াতের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্টরা কাজও করছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তারেক রহমানের স্বৈরাচারী আচরণ ও ২০ দলীয় জোটে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন মিশনে নেমেছে জামায়াত। এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনোভাবেই তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য সাধন করতে না পারে।