জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র নেই, অভিযোগ দলের নেতাকর্মীদের
প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার
জাতীয়-পার্টিতে-গণতন্ত্র-নেই-অভিযোগ-দলের-নেতাকর্মীদের
গত ডিসেম্বরে দলের প্রেসিডিয়াম ফোরামের এক বৈঠকের এক সিদ্ধান্তে দলে গণতন্ত্রের চর্চার অভাব নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ আরো বেড়েছে।
ঐ সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ছাড়া অন্য কারো বক্তব্য জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী বক্তব্য বলে বিবেচনা করা যাবে না। অন্য কেউ এ বিষয়ে বক্তব্য দিলে সেটি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ হবে বলেও জানানো হয়।
২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ঐ প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, দলের শীর্ষ এই দুই নেতাই কেবল দলের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এছাড়া জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু পার্টির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন।
জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী বিষয়ে দলীয় চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের বাইরে কেউ বক্তব্য দিলে তা তার ব্যক্তিগত অভিমত এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি বলে বিবেচনা করতে হবে।
দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নিজেই দলের মধ্যে একক সিদ্ধান্ত প্রয়োগের চর্চা চালিয়ে গেছেন। তার ছোট ভাই জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান হওয়ার পর একই চর্চা অব্যাহত রেখেছেন।
আরো পড়ুন> রাজনৈতিক পরিচয় অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার তারেকের
তারা আরো বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই দলটির মধ্যে একক কর্তৃত্ব ও স্বেচ্ছাচারিতার চর্চা বাড়ছে। এক ব্যক্তির প্রভাব আরো বেশি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কেন্দ্রীয় একজন নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি সংসদের বিরোধী দল। এরকম একটি দলের মধ্যে কারো কোনো মতামতের তোয়াক্কা করা হয় না। পার্টির হাতেগোনা দুয়েকজন যা সিদ্ধান্ত নেন, সেটিই সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। এরকম পরিস্থিতি হলে মানুষের রাজনীতি কীভাবে হবে?
এ বিষয়ে দলের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আমরা রাজনীতি করি আমাদের জনপ্রিয়তা নিয়ে। কিন্তু জি এম কাদের যে বিবৃতি (প্রেসিডিয়াম বৈঠকের ওই সিদ্ধান্ত বিষয়ক) দিয়েছেন, তাতে মনে হয় আমরা ছাত্র ও শিক্ষক। ভাইয়ের উত্তরসূরী হিসেবে দলের চেয়ারম্যান হয়েছেন। এ নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না।