সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কলকাতার কোথায় পাবেন বাহারি শীতবস্ত্র

প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

কলকাতার-কোথায়-পাবেন-বাহারি-শীতবস্ত্র

কলকাতার-কোথায়-পাবেন-বাহারি-শীতবস্ত্র

অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছেন কলকাতায়। চিকিৎসা, ব্যক্তিগত, অফিসের কাজ কিংবা ভ্রমণে কলকাতা যাওয়া হয় অনেকের। এই সময়ে কলকাতায় যাওয়ার প্ল্যান থাকলে, কম খরচে শপিং করার চিন্তা-ভাবনাও করতে পারেন।

শীতকালে আর যা-ই হোক, গরম জামাকাপড় পরা জরুরি হয়ে পড়ে। তাই শপিংয়ের বিষয়বস্তু হতে পারে গরম কাপড়! অনেকেই ভয় পান শীতের পোশাক কিনতে গেলেই টাকা খরচ হয়ে যাবে গাছের পাতার মতো। কিন্তু কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, টুপি, কোট, মোজাসহ নানা রকম শীতবস্ত্র পাওয়া যায় এখন অল্প ব্যয়েই।

চলুন, কলকাতার বাহারি শীতবস্ত্রের হদিশ জানা যাক-

ওয়েলিংটন স্কোয়ার

ওয়েলিংটন স্কোয়ারের ভুটিয়া মার্কেটেই রয়েছে কলকাতার সবচেয়ে পুরনো আর বিখ্যাত শীতের জামাকাপড়ের দোকান। ভুটান, তিব্বত, নেপাল, হিমাচল থেকে আনা শীতের পোশাকের আধিক্যের জন্য বিখ্যাত এই দোকানগুলো। বাহারি শাল, কোট, সোয়েটার থেকে জমকালো কার্পেট পর্যন্ত আরও অনেক কিছু পাওয়া যায় এখানে।

গড়িয়াহাট

কেনাকাটা করার জন্য গড়িয়াহাট চত্বরের মতো জায়গা কলকাতায় আর নেই। এই অঞ্চলে কিন্তু বছরের একটা বিশেষ সময়ে শীতবস্ত্রের প্রভূত সম্ভারও মেলে। কার্ডিগান, জ্যাকেট বা কেতাদুরস্ত কোট, সবই একটু দরাদরি করতে পারলে পছন্দমাফিক আপনি অনেক কিছু পেয়ে যাবেন এখানে।

হেদুয়া

উত্তর কলকাতার হেদুয়া পার্কের সামনে বেথুন কলেজের উল্টোদিকেই বিধান সরণির উপরে অসংখ্য ব্যবসায়ী নানা ধরনের শীতবস্ত্রের পসরা সাজান। আশেপাশের একাধিক কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও নিয়মিত অল্প ব্যয়ে এখান থেকেই কিনে নিয়ে যান পছন্দসই শীতের পোশাক।

নিউ মার্কেট

নিউ মার্কেট অঞ্চলে পাওয়া যায় না এমন জিনিস নাকি নেই— অন্তত কলকাতা শহরের মানুষ এমনটাই মনে করেন। শীতকালে যদি ফ্যাশন অনুযায়ী মোজা, টুপি, দস্তানা, কোট, মাফলার ইত্যাদি কিনতে আগ্রহী হন আপনি, তবে সেখানেই পাবেন মনের মতো জিনিসপত্র। শ্রীরাম মার্কেটের সামনে এবং লিন্ডসে স্ট্রিটে বসে শীতের পোশাকের বড়সড় বাজার।

খান্নার মোড়

সারা বছর ধরেই উত্তর কলকাতার খান্নার মোড়ে সপ্তাহে দু’-তিন দিন বসে বিশাল বড় হাট। বছরের বিশেষ কিছু সময়ে এখানেও মনের মতো শীতবস্ত্র পাবেন আপনি। হাতে সময় নিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া এখানে আশেপাশেই গরম জামাকাপড়ের বিখ্যাত কিছু দোকানও রয়েছে যেখান থেকে কোনো শীতপ্রধান অঞ্চলে বেড়াতে গেলে এই শহরের মানুষ শীতবস্ত্র কিনে নিয়ে যান।