তারেকে বন্দি বিএনপির রাজনীতি!
প্রকাশিত : ০৫:০৫ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২২ সোমবার
তারেকে-বন্দি-বিএনপির-রাজনীতি
জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা জানান, একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তারেক রহমান দলের মধ্যে একটা বলয় তৈরি করেছেন। দলের নীতিনির্ধারণী সব সিদ্ধান্তই তার কাছ থেকে আসছে।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, এই মুহূর্তে তারেক রহমানের উচিত বিএনপির নীতিনির্ধারক স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ওপর দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া। কেননা লন্ডনে বসে দেশের বাস্তব অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায় না।
তারা বলেন, দলের সব সিদ্ধান্তই যদি তারেক রহমান এককভাবে নেবেন, তাহলে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাজ কী? মহাসচিবের ক্ষমতা কতটুকু? যতদিন পর্যন্ত মহাসচিবকে তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে দেওয়া হবে না, সাংগঠনিক কার্যক্রমে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ নেয়া হবে না ততদিন পর্যন্ত বিএনপির কোনো উন্নয়ন হবে না।
আরো পড়ুন> এবার করোনার পর বিএনপির আন্দোলন
তারা আরো জানান, বিএনপিতে মূলত তিনটি ভাগ রয়েছে। তৃণমূল, সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব। এসব বিষয় এখন শুধুমাত্র তারেক রহমানই দেখছেন, যা একেবারেই ঠিক নয়। অতীতে আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ব্যর্থ বলা হয়। কিন্তু ভেতরের চিত্রটা ভিন্ন। কারণ বিএনপি শুধুমাত্র একজনের নির্দেশে চলে। শুধুমাত্র ‘লন্ডনের ওহি’র ওপরই তাদের নির্ভর করতে হয়। তাই যতদিন না লন্ডন থেকে ‘ওহি’ আসা বা স্কাইপের মাধ্যমে দল পরিচালনা বন্ধ হবে, দলের দক্ষ ও চৌকস নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে না ততদিন পর্যন্ত এই দলের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একাধিক নেতা বলেন, বিএনপি এখন এতটাই রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যে, দলের সম্মেলন করার ক্ষমতা নেই। কয়েক বছর ধরে বিএনপির সহযোগী ছাত্রদল, যুবদলসহ যেসব সংগঠনের কমিটি করা হয়েছে তা নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছে।
দলীয় অফিসের সামনে কর্মীরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করেছেন। নেতাদের অবরুদ্ধ পর্যন্ত রেখেছেন। কীভাবে এসব কমিটি হয়? তারা কীভাবে কমিটির নেতৃত্বে আসেন? সিনিয়র নেতারা এর কিছুই জানেন না অথচ এর দায়ভার এসে পড়ে তাদের উপরই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যেকোনো সিদ্ধান্তেই তারেক রহমানের পরস্পরবিরোধী অবস্থান দলকে বেকায়দায় ফেলে দেয়। যেকোনো সিদ্ধান্তই আসে লন্ডন থেকে। প্রতিটি নির্বাচনেই বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠছে। এর মূলে সব সময় থাকে তারেকের হস্তক্ষেপ। মোট কথা তারেকের হাতে সম্পূর্ণ বন্দি বিএনপির রাজনীতি।