সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলার নায়াগ্রা নাফাখুম

প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

বাংলার-নায়াগ্রা-নাফাখুম

বাংলার-নায়াগ্রা-নাফাখুম

সম্পর্কিত খবর ভ্রমণ হোক বাংলাদেশের প্যারিস রোডে শীতে ভ্রমণ হোক রাঙামাটিতে পাহাড়ের আঁকা-বাঁকা, উঁচু-নিচু পথ দিয়ে চলবে বাস। হাঁ হয়ে দেখতে হবে পাহাড়গুলো। নিচে তাকিয়ে মনে হবে, এ যেন আরেক সাজেক। শুভ্র মেঘের কার্পেট দিয়ে ঢাকা। সেই মেঘ দেখতে দেখতে চলে যাওয়া যাবে চিম্বুক পাহাড় এলাকার। সাদা মেঘের ভেলায় এভাবেই পর্যটককে স্বাগত জানায় পাহাড়। আজ জানাবো পাহাড়ি দৃশ্য নাফাকুমের কথা।

নাফাখুম জলপ্রপাত বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে অবস্থিত। পানি প্রবাহের পরিমানের দিক থেকে এটিকে বাংলাদেশের অন্যতম বড় জলপ্রপাত হিবেবে আখ্যায়িত। আবার কেউ কেউ একে বাংলার নায়াগ্রা বলে অভিহিত করেন। নাফাখুম দেখতে থানচি বাজার থেকে সাঙ্গু নদী পথে নৌকা দিয়ে রেমাক্রি যেতে হয়। রেমাক্রীতে রয়েছে মারমা বসতি, মারমা ভাষায় খুম মানে জলপ্রপাত। রেমাক্রী থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা পায়ে হাটলে তবেই দেখা মিলে প্রকৃতির এই অনিন্দ্য রহস্যের। রেমাক্রী খালের পানি নাফাখুমে এসে বাক খেয়ে প্রায় ২৫-৩০ ফুট নিচের দিকে নেমে গিয়ে প্রকৃতি জন্ম দিয়েছে এই জলপ্রপাতের।

দ্রুত গতিতে নেমে আসা পানির জলীয় বাষ্পে সূর্য্যের আলোয় প্রতিনিয়ত এখানে রংধনু খেলা করে। আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন ও বান্দরবানে ট্রেকিং করার ইচ্ছে থাকে, কিংবা দেখতে চান বান্দরবানের গহীনের সবুজের খেলা, আদিবাসীদের জীবন চিত্র, সাঙ্গুর ভয়ংকর রূপ বা শীতের টলমলে পাথুরে জলের খেলা তবে আপনার জীবনে একবার হলেও যাওয়া উচিত অনিন্দ্য সুন্দর এই  ঝর্ণায়।

রেমাক্রী খালের পানি নাফাখুমে এসে বাক খেয়ে প্রায় ২৫-৩০ ফুট নিচের দিকে নেমে গিয়ে প্রকৃতি জন্ম দিয়েছে এই জলপ্রপাতের।

এই পথে যেতে যেতে আপনাকে পারি দিতে হবে তিন্দু ও বড় পাথর। তিন্দুতে একটি বিজিবি ক্যাম্প আছে। অসাধারন সুন্দর একটি স্থান তিন্দু। অনেকে নাফাখুম যাবার পথে থানচি না থেকে তিন্দুতে এসে রাত্রিযাপন করে।

পানি প্রবাহের পরিমাণের দিক থেকে সম্ভবত নাফাখুম-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। উপর হতে আছড়ে পড়া পানির আঘাতে ঝর্নার চারিদিকে সৃষ্টি হয় ঘন কুয়াশার। উড়ে যাওয়া জলকনা বাষ্পের সাথে ভেসে ভেসে শরীরে এসে পড়ে। রোমাঞ্চকর সে অনুভূতি।

আরো পড়ুন : ভ্রমণের পাঁচ উপকারিতা

দিনে গিয়ে দিনেই নাফাখুম ঝর্না থেকে থানচি ফিরে আসাটা খুবই কষ্টকর। তাই আপনি চাইলে রেমাক্রীতে রাত্রি যাপন করে চারপাশটা ভালোভাবে ঘুরে ফিরে দেখে আসতে পারেন। আর যারা দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে চান তাদেরকে ভোর ৬/৭ টার মধ্যে থানচি থেকে যাত্রা শুরু করতে হবে। রেমাক্রী বাজার হতে জোরে হাটলে দুই ঘণ্টা এবং ধীর পায়ে হাঁটার ক্ষেত্রে নাফাখুম ঝর্নায় পৌছতে তিন ঘণ্টার মতো সময় লেগে যায়।