করোনা নিয়ে ফখরুলের নাটক, সন্দেহ তৃণমূলের
প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
করোনা-নিয়ে-ফখরুলের-নাটক-সন্দেহ-তৃণমূলের
অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের তালিকা থেকে টিকা নেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রথম টিকা নেবেন না বললেও প্রাণ বাঁচাতে সস্ত্রীক নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে সিঙ্গাপুর গিয়ে টিকা নেয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত নাগরিক ছাড়া অন্য কাউকে টিকা দেওয়া হচ্ছে না এটা জানতে পেরে দেশে ফিরে আসেন। তারপরে সকালবেলা দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে না নিয়েই গোপনে টিকাকেন্দ্রে যান। পরে সংবাদকর্মীদের কাছে ধরা পড়েন মির্জা ফখরুল। এভাবে তিনি বহু নাটকের পর বুস্টার ডোজও নিয়েছেন। তবে জনসম্মুখে সরকারের সমালোচনা করে তিনি এখনো বলেন, দেশের মানুষ এখনো টিকা পাচ্ছে না।
এর মধ্যে প্রচার করা হয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত। তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। কিন্তু অনেকেই এই সময় তার করোনার আক্রান্তের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের চোখে দেখছেন।
যদিও বিএনপিপন্থী সংগঠনের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন তিনি করোনা পরীক্ষা করেছেন এবং পজিটিভ রেজাল্ট আসার পরই তিনি এবং তার স্ত্রী আইসোলেশনে গেছেন।
একজন চিকিৎসক জানান, প্রথমে তার স্ত্রী রাহাত আরার করোনা পজিটিভ আসে এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করোনা পরীক্ষা করান। পরে তারও করোনা পজিটিভ আসে। ফলাফল দেখার পরই তিনি সব কর্মসূচি থেকে নিজেকে গুটিয়ে বাসায় আইসোলেশনে থাকেন। কিন্তু বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এই সময় তার করোনায় আক্রান্তের বিষয়টিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন।
তারা বলছেন, যখন সরকার করোনার কারণে রাজনৈতিক সভা সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর বিএনপি সব বাধা ডিঙিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করার চিন্তাভাবনা করছে। সেই সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার রহস্য জনক। বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর তিনি কিভাবে করোনায় আক্রান্ত হন এ প্রশ্ন তাদের।
তবে এভাবে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার পেছনে অন্য কোন কাহিনী থাকতে পারে বলেও বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে কখনোই ভরসার প্রতীক ছিলেন না। বিশেষ করে কর্মীদের মনে তার ব্যাপারে অনেক সংশয় এবং অবিশ্বাস রয়েছে। বিশেষত ২০১৮ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে থেকেই বিএনপি কট্টর সমর্থক রা ফখরুলের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করে আসছে।
তৃণমূল পর্যায়ের অনেকেই মনে করেন, বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই আঠারো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিলেন। এমনভাবে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছিল যেন নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি হয়। ওই নির্বাচনে হারের পেছনে মির্জা ফখরুলের সিদ্ধান্তগুলো দায়ী বলে মনে করেন কেউ কেউ।
বিশেষ করে বিএনপির কয়েকজন বিজয়ী প্রার্থী সংসদে যোগদানের সিদ্ধান্তে কর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। মির্জা ফখরুলের দাবি ছিল তারেক রহমানের নির্দেশেই এটি করা হয়েছে। তবু কর্মীরা মনে করেন, তারেক রহমান বিদেশ থাকেন এমন নির্দেশনা দিলেও তাকে বাস্তবতা এবং কর্মীদের মনোভাবটা বুঝানোর দায়িত্ব ছিল মহাসচিবের।
এরপর থেকেই মির্জা ফখরুলের উপর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিশ্বাস চলে গেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলাগুলো কেনো নিষ্ক্রিয় এটা নিয়েও অনেকের মনে সন্দেহ। তাই মির্জা ফখরুলের অসুস্থতার মধ্যে যোগসাজশ দেখছেন বিএনপির তৃণমূল কর্মীরা।