সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশিদের জন্য সহজ ভিসানীতি করতে পারে যুক্তরাজ্য 

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

বাংলাদেশিদের-জন্য-সহজ-ভিসানীতি-করতে-পারে-যুক্তরাজ্য 

বাংলাদেশিদের-জন্য-সহজ-ভিসানীতি-করতে-পারে-যুক্তরাজ্য 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার পর যুক্তরাজ্য কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বাড়িয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিভিন্ন ধরনের চুক্তি করেছে। ১৯৭৩ সাল থেকে ৪৭ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হিসেবে থাকলেও ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য খাতা-কলমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয় আর মধ্যবর্তী সময় কাটিয়ে চূড়ান্ত রূপে বের হয় ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত থাকাকালে যুক্তরাজ্যে ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মানুষ ভিসা ছাড়াই আসতে পারতেন। কাজ করার অনুমতিও পেতেন। অন্যান্য দেশে কম উৎপাদন খরচে জিনিসপত্র উৎপন্ন হয়ে শুল্ক-কর ও ভ্যাট ছাড়া যুক্তরাজ্যে ঢুকতো বলে দাম কিছুটা কম ছিল। এখন যেহেতু ভিসা আরোপ করা হয়েছে তাই কর্মস্থলে দক্ষ লোকের অভাব দেখা দিয়েছে আর জিনিসপত্রের মূল্য কম রাখার জন্য দেশের ভেতরেই উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

এজন্য যুক্তরাজ্য মনোযোগী হয়েছে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর দিকে। এসব দেশগুলো থেকে দক্ষ জনশক্তি আনার আগ্রহ প্রকাশ করছে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরে সহজ করা হয়েছে ভিসানীতি। দক্ষ ড্রাইভার ও কেয়ার সেক্টরে লোক অভাব থাকার দরুন ঘোষণা করা হয়েছে খুবই সহজ ভিসা নীতি।

কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত এরই মধ্যেই আলাপ-আলোচনা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে ভারতীয়দের বসবাস ও কাজের জন্য সহজ ভিসা নীতি আদায়ে সক্ষম হয়েছে। নতুন এ বছরে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার ভিসা ফি ও অন্যান্য খরচ কমানোর চিন্তাভাবনা করছে।

আরো পড়ুন: ব্রুনাইয়ে ধর্ষণের দায়ে বাংলাদেশির ২৫ বছরের জেল, ২০ বেত্রাঘাত

যুক্তরাজ্য সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটেনের একটি প্রভাবশালী পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। চলতি মাসে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত আসন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসার কথা জানিয়েছে সংবাদটিতে।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সুসম্পর্ক বিরাজমান। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন যুক্তরাজ্য সফরে এসেছিলেন। তখন তার অনুরোধে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশকে লাল তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল এবং বাংলাদেশের করোনা টিকা সনদকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সহযোগিতা ছাড়াও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের পাশে থেকে সাহায্য করছে যুক্তরাজ্য।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে সিঙ্গাপুর

এদিকে, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকারের বিভাগ গুরুত্বসহকারে পালন করছে। ঐতিহাসিক এ সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, কর্মসংস্থান ও ভিসানীতি বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। এসব বিষয়ে কূটনৈতিক সফলতার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে মনোযোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা মনে করছেন, এসব বিষয়ে সফলতা আসলে রেমিট্যান্সের প্রবাহ আরও বাড়বে, যা হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সুবর্ণ সুযোগ।