পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা জড়ো হচ্ছে বিএনপিতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
দৈনিক প্রভাতী
প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০১৮ শনিবার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা। দেশের বাইরে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীরাও দেশের খোঁজখবর নেয়া শুরু করেছে। কেউ কেউ দেশে আসারও চিন্তা করছে।
আওয়ামী লীগের অনেক রাজনৈতিক নেতাকে তারা নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ মিলেছে। কোনো কোনো সন্ত্রাসী নেতাদের ব্ল্যাকমেইল করছে বলেও অভিযোগ আছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, রাজধানীর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছে। যারা এখনো সক্রিয় এবং তাদের সহযোগীরা বিভিন্ন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। বিদেশে থাকলেও তাদের কলকাঠিতেই বিভিন্ন সময় খুন-খারাবি ঘটছে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনে সহিংসতা করার জন্য দেশের বাইরে থাকা সন্ত্রাসীদের দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে বিদেশে অবস্থানরত একটি দলের শীর্ষ নেতা। তার নির্দেশে জেলে থাকা সন্ত্রাসীদেরও জামিনে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। এজন্য সিনিয়র কয়েকজন আইনজীবিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ মিডিয়া সেলের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত তারা যেখানেই অবস্থান করুক তাদের প্রতি নজরদারি থাকে। তাদের অপতৎরতা বন্ধ করতে সব ধরনের কর্মকৌশলও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে বিএনপি জামায়াত জোট। পরে ক্ষমতায় আসার পর তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। পরে ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ করে সরকার।
সে সময় তাদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও আত্মগোপনে কিংবা বিদেশে পালিয়ে যায় অনেকে। জামিনে বের হয়েও পালিয়ে যায় কয়েকজন। তবে তালিকার বাইরেও রয়েছে অনেক চিহ্নিত অপরাধী। যারা বিভিন্ন সময় আইনের ফাঁকে জামিন নেয়ার চেষ্টা করছে। আসছে নির্বাচনের আগেও বাড়তে পারে এমন তৎপরতা। তাই বাড়তি সতর্কতা।
আইনজীবীরা বলছেন, নির্বাচন এলে একদিকে যেমন রাজনৈতিক মামলা বাড়ে তেমনি বাড়ে জামিন নেয়ার হার। নির্বাচনের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা যেনো জামিনের বের হতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের।
মহানগর পিপি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যে মামলাগুলো ঝুঁলে থাকে তার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। এই ফাঁকে দাগী অপরাধীরা যেনো কোনোভাবে জামিনে বের হয়ে না আসে।’
তবে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসীদের জামিন রোধ করতে গিয়ে সাধারণ বিচার প্রার্থীরা যেনো হয়রানির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখারও পরমর্শ দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. কাজী জাহেদ মালিক।
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার বিএনপিকে চাপে রাখার জন্যই এমন অভিযোগ করছে। আমারা এ ব্যাপারে কোন পরিকল্পনা করেনি।