সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুক্তরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশি নারী ‘কিউসি’ হলেন ব্যারিস্টার সুলতানা

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

যুক্তরাজ্যে-প্রথম-বাংলাদেশি-নারী-কিউসি-হলেন-ব্যারিস্টার-সুলতানা

যুক্তরাজ্যে-প্রথম-বাংলাদেশি-নারী-কিউসি-হলেন-ব্যারিস্টার-সুলতানা

যুক্তরাজ্যে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী হিসেবে কুইন্স কাউন্সেল (কিউসি) নিযুক্ত হয়েছেন ব্যারিস্টার সুলতানা তাপাদার। তার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে।

২২ ডিসেম্বর নতুন নিয়োগ পাওয়া ১০১ জন কুইন্স কাউন্সেল (কিউসি)-এর তালিকা প্রকাশ করা হয়। ব্রিটিশ রানির পরামর্শে লর্ড চ্যান্সেলর এমপি ডোমিনিক রাব এই নিয়োগ দেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সুলতানা সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শাহাবউদ্দিন তাপাদারের মেয়ে। তিনি একজন অভিজ্ঞ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক আইনে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই নারী যুক্তরাজ্যে একজন ব্যারিস্টার হিসেবে আইন পেশায় কাজ করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছেন।

সুলতানা নিয়মিতভাবে কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের, বিশেষ করে বৃহৎ মাল্টি-ন্যাশনাল কর্পোরেশনকে গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

এছাড়া তার হাই প্রোফাইল কাউন্টার টেররিজম এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলায় কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

কুইন্স কাউন্সেল (কিউসি) নিয়ে প্রিভির কাউন্সিলর বা ক্রাউনটির আইন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই। 

যুক্তরাজ্য এবং কয়েকটি কমনওয়েলথ দেশে রানির রাজত্বকালে একজন কিউসি (কুইন কাউন্সেল) অথবা রাজার রাজত্বকালে কেসি (কিং কাউন্সেল) নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা সাধারণত ব্যারিস্টার বা আইনজীবী হন। কিউসি আদালতের মামলার সিনিয়র পরামর্শদাতা। আদালতে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রতিটি পক্ষই সাধারণত কিউসি দ্বারা পরিচালিত হয়।

কেসি দেশের রাজা কর্তৃক ‘মহামান্য পরামর্শদাতা’ হওয়ার জন্য নিযুক্ত হন। তবে কিছু কমনওয়েলথ দেশ রাজতান্ত্রিক ধারণাগুলো অপসারণ করতে এটি বাতিল করেছে। আবার কোনো দেশ এই নামকরণ পরিবর্তন করে দিয়েছে ‘সিনিয়র কাউন্সেল’ বা ‘সিনিয়র অ্যাডভোকেট’। 

কুইন্স কাউন্সেল একটি অফিস যা ক্রাউন দ্বারা প্রদত্ত, এটি আদালত দ্বারা স্বীকৃত। এই সদস্যদের আদালতের অভ্যন্তরীণ বারের মধ্যে বসে থাকার সুযোগ রয়েছে। শব্দটি একটি সম্মানজনক হিসেবে স্বীকৃত।

নির্দিষ্ট পেশার অভিজ্ঞতার চেয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে আইনী পেশার মধ্য থেকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।