স্টোনহেঞ্জ : যেখানে দেখা মিলবে অপরূপ সূর্যাস্তের
প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০২১ শুক্রবার
স্টোনহেঞ্জযেখানে-দেখা-মিলবে-অপরূপ-সূর্যাস্তের
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ স্টোনহেঞ্জের পাথরের চূড়ায় সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখে আসছে। দৈত্যাকার পাথরে গড়া স্টোনহেঞ্জ পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন স্থাপত্যগুলোর একটি। সূর্যের গতিবিধির সূক্ষ্ম মাপজোকের মাধ্যমে স্টোনহেঞ্জের সুউচ্চ প্রস্তরফলকসমূহ স্থাপন করা হয়। এমনভাবে পাথরগুলো বসানো হয়, যেন সকালের সূর্য সবচেয়ে উঁচু পাথরের ঠিক মাথায় উদিত হয় এবং সূর্যের প্রথম আলো স্তম্ভগুলো বৃত্তাকার বেষ্টনির কেন্দ্রে পড়ে। সেই হিসেবে, সূর্য অস্ত যায় স্টোনহেঞ্জের পাদদেশে।
ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের উইল্টশায়ারে অবস্থিত স্টোনহেঞ্জ নব্যপ্রস্তরযুগে তৈরি বলেই প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা। তৈরি করতেও সম্ভবত পৃথিবীর যেকোনো স্থাপনার চেয়ে অধিক সময় লেগেছে স্টোনহেঞ্জের ক্ষেত্রে। তবে ইতিহাসবিদদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী স্টোনহেঞ্জ তৈরি করা হয়েছিল তিনটি ধাপে।
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ইতিহাসবিদগণ স্টোনহেঞ্জের রহস্য খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কী করে তৈরি করা হয়েছিল এই বিশালাকৃতির পাথুরে স্তম্ভ? কেনই বা তৈরি করা হয়েছিল? এরকম আরও হাজারো প্রশ্ন স্টোনহেঞ্জকে ঘিরে তৈরি হয়েছে, যার উত্তর কেউই সঠিকভাবে দিতে পারেনি। তবে অনেক যুক্তি তর্কের ভিত্তিতে যেমন রয়েছে নানান তত্ত্ব, তেমনি রয়েছে অনেক মুখরোচক রহস্যময় গল্প।
ইতিহাসবিদ আর প্রত্নতত্ত্ববিদগণ যে তত্ত্বই দিক না কেন, স্টোনহেঞ্জের রহস্য পুরোপুরি অনাবৃত করা আদৌ সম্ভব নয়। হাজার বছরের পুরনো এই স্তম্ভটি কী উদ্দেশ্যে কারা বানিয়েছিল এসব কিছুই নিশ্চিত করে হয়তো জানা যাবে না। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, স্টোনহেঞ্জ যতদিন অক্ষত থাকবে, ততদিনই মানুষের নিকট এটি একটি রহস্য হয়ে থাকবে।
সে যাই হোক, শ্বাসরুদ্ধকর সুন্দর সেখানের দৃশ্য! দেখলে মনে হবে, উঁচু পাথরের ফাঁক গলে আকাশের কমলারঙা পথে সূর্য যেন হারিয়ে যায় অন্য কোনো দেশে। পৃথিবীর নানা দেশের পর্যটকেরা এখানে ছুটে আসেন অপরুপ সুন্দর এই দৃশ্য দেখতে।