হিরণ পয়েন্ট অভয়ারণ্য : দেখুন চোরের চোখে, ফিরুন বীরের বেশে
প্রকাশিত : ০১:৫৫ পিএম, ১ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার
হিরণ-পয়েন্ট-অভয়ারণ্যদেখুন-চোরের-চোখে-ফিরুন-বীরের-বেশে
বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি ও সরীসৃপের নিরাপদ আবাসস্থল এই যায়গাটি। সুন্দরবন এলাকায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার অন্যতম একটি স্থান। দেখা যাবে চিত্রা হরিণ, বন্য শুকর, পাখিদের মধ্যে আছে সাদাবুক মাছরাঙা, হলুদবুক মাছরাঙা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁদাখোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এ ছাড়া আছে প্রচুর কাঁকড়ার আবাস। আর আছে রঙ-বেরঙের প্রজাপতি। বেশিই চোখে পড়বে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা লজ্জাবতী হরিণ।
এখানে বড় বড় সুন্দরী গাছ দেখা যাবে। মাটি থেকে উপরের দিকে চোখা হয়ে জেগে থাকে অজস্র শ্বাসমূল। এর মধ্যে দৌড়ে বেড়ায় বানরের দল।
হিরণ পয়েন্ট থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কেওড়াসুঠিতে রয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, যা থেকে আশপাশের প্রকৃতি দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালিত তিনটি ভালো রেস্টহাউজ আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তাতে থাকা যায়।
দেখুন চোরের চোখে, ফিরুন বীরের বেশে
যে কোনো অভয়ারণ্য দেখতে হবে নিশ্চুপ দৃষ্টিতে। সেখানে পা বাড়ানোর নিয়ম চোরের মতো। কারণ প্রকৃতি সর্বদা প্রকৃতির মতোই জীবের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে।
প্রকৃতিতে প্রকৃত আচরণ করলেই আপনি দেখতে পাবেন এ বনের অপরূপ সোভা। এমন প্রকৃতি দর্শনের উদাহরণ হিরণ পয়েন্ট। যেখানে চিৎকার চেচামেচি মানেই বিপদ। বিকট শব্দ যারা করবে তারা এ প্রকৃতির কোনো স্বাদ পাবে না। গাছ ছাড়া কিছুই চোখে পড়বে না। পাখির কুহুতান তাদের কানে আসবে না।
যাওয়ার উপায় :
ঢাকার গাবতলী কিংবা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বাসে খুলনা বা বাগেরহাট যেতে হবে। খুলনা লঞ্চঘাট বা বাগেরহাটের মংলা বন্দর থেকে লঞ্চযোগে হিরণ পয়েন্ট যাওয়া যাবে। রাতে ও সকালে লঞ্চ রয়েছে। এ ছাড়াও বাগেরহাটের মংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা থেকে পাবেন সুন্দরবন যাওয়ার নৌযান। ঢাকার সায়দাবাদ বাস স্টেশন থেকে সরাসরি মংলা যায় সুন্দরবন ও পর্যটক সার্ভিসের বাস।
কোথায় থাকবেন:
সুন্দরবনে রাত কাটাতে চাইলে পর্যটন জাহাজে রাত কাটানো যায়। এ ছাড়া হিরণপয়েন্টের নীলকমল, টাইগার পয়েন্টের কচিখালী এবং কাটকায় বন বিভাগের রেস্ট হাউজে রাত্রিযাপন করা যাবে। সারাদিন ঘুরাঘুরি করে রাতে এসে থাকা যাবে বন্দর শহর মংলায়।