সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতে ভ্রমণ হোক অপরূপ বান্দরবানে 

প্রকাশিত : ১০:৫৫ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২১ শনিবার

শীতে-ভ্রমণ-হোক-অপরূপ-বান্দরবানে 

শীতে-ভ্রমণ-হোক-অপরূপ-বান্দরবানে 

অপরূপা বাংলাদেশ। অপরূপ আমাদের প্রকৃতি। ছয়টি ঋতুর ভিন্ন রূপ,সবই মুগ্ধকর। তবে, শীতকাল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। আর শীতে ভ্রমণের সেরা অনুষঙ্গ হতে পারে দেশের পার্বত্য প্রকৃতি বান্দরবান।

শীতে কুয়াশার চাদরে নতুন রূপ পায় বান্দরবান। দূর পাহাড়ের এই রূপ দেখতে ভ্রমণে ছুটে আসেন অনেকেই। বান্দরবানে বেড়াতে এসে কখনো মন খারাপ করে বাড়ি ফেরে না পর্যটকেরা। সবুজ পাহাড়ের ছোঁয়া যারা পেতে চায়, তাদের যেতে হবে পাহাড়ি জনপদের আনাচে-কানাচে।

অপরূপ বান্দরবান। ছবি : সংগৃহীত 

শীতের হিমেল পরশে সজীব হয়ে ওঠে পার্বত্য প্রকৃতি। সময়টাকে বেড়ানোর উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেয় ভ্রমণপিপাসুরা। জেলার নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত ঝরনাসহ দর্শনীয় স্থানগুলো পূর্ণতা পায় ভ্রমণকারীদের আগমনে। শীতের পরশে পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

অপরূপ বান্দরবান। ছবি : সংগৃহীত 

পর্যটকরা এখানে যেন মুক্তির স্বাদ পায়।দেখা যাবে নীলাচল পাহাড়ের চূড়া থেকে সূর্যাস্ত, নীলগিরি থেকে পাহাড়ের সমুদ্র, পাহাড়ের চূড়ায় প্রাকৃতিক বগা লেক, পাহাড় থেকে ঝরে পড়া রিজুক, জাদিপাই, চিংড়ি আর শৈলপ্রপাত ঝরনার হাতছানি। আছে গা ছমছমে বাদুড়গুহা, আলীর সুরঙ্গপথ। মেঘলায় লেকের ওপরে আকর্ষণীয় দুটি ঝুলন্ত সেতু, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নামে পরিচিত স্বর্ণমন্দির, রামজাদী মন্দির, রেমাক্রি বড় পাথর, দেবতা পাহাড়, নাফাকুম জলপ্রপাত। পর্যটকরা দেখতে যায়, ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোল চা বাগান, দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ সাকাহাফং, তাজিংডং বিজয়, কেওক্রাডং চূড়া। পাহাড়ি সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই জেলায় আছে ভিন্ন ভাষার ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি। জাতি আর ধর্ম নির্বিশেষে সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বান্দরবানের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণে।

অপরূপ বান্দরবান। ছবি : সংগৃহীত 

প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে বান্দরবানে প্রতিনিয়ত ছুটে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভ্রমণপিপাসুরা। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে হয়ত আপনার ভ্রমণের অপেক্ষায় রয়েছে অপরূপ বান্দরবান।