পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
প্রকাশিত : ০৮:৫৫ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২১ শুক্রবার
পৃথিবীর-দীর্ঘতম-সমুদ্র-সৈকতে-পর্যটকদের-বাঁধভাঙা-উচ্ছ্বাস
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা গেছে, দরিয়া নগর, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, রেজু খালের মোহনা, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী, লাবনী, ডায়াবেটিস পয়েন্ট, মনখালী খালের মোহনা, শৈবাল ও সীগাল পয়েন্টে দলে দলে ভিড় করছেন পর্যটকরা। কেউ সাগরের নোনাজলে স্নানে ব্যস্ত, আবার কেউ ব্যস্ত প্রিয়জনের সঙ্গে খুনসুটিতে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এখন শুধু মানুষ আর মানুষ।
এদিকে পর্যটকদের মাতিয়ে রাখতে সুবিশাল সমুদ্রও ব্যস্ত। ক্ষণে ক্ষণে নীল জলরাশি আছড়ে পড়ছে বালিয়াড়িতে, নেই উত্তাল ঢেউ। উপকূলে নৌকা নিয়ে মাছ শিকার করছে জেলেরা। প্রকৃতির শীতল-মায়াবী আচরণ দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম সবে শুরু। দিনদিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ফের জমজমাট হবে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা।
বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের সুবিধার জন্য শিগগিরই রেললাইন চালু হচ্ছে। এছাড়া উন্নত হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর, ফুটবল ও ক্রিকেট স্টেডিয়াম। পাঁচ তারকা-তিন তারকা হোটেলসহ আন্তর্জাতিক মানের আবাসন সুবিধা তো আছেই।
তিনি আরো বলেন, একসঙ্গে ৩-৪ লাখ পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে কক্সবাজারে। সামনে পর্যটকের সংখ্যা আরো বাড়বে। পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে টুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমদ জানিয়েছেন, কক্সবাজারের সুপরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষ গঠন করেছেন। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে এরই মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে কক্সবাজার হবে তিলোত্তমা পর্যটন জোন। এ খাত থেকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে। এতে দেশের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে।