উত্তরবঙ্গের মহানন্দা নদী থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা
প্রকাশিত : ০৭:৫৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ সোমবার
উত্তরবঙ্গের-মহানন্দা-নদী-থেকেই-কাঞ্চনজঙ্ঘা
সেপ্টেম্বরের বেশিরভাগ দিনই মেঘমুক্ত আকাশে ছিল রোদের ঝলকানি। উত্তরবঙ্গ ঘুরতে আসা পর্যটকরা নদীর ধার বা ফাঁকা জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। এর জেরে খুশি পর্যটক থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা।
তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন (স্থলবন্দর) থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার, ভুটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার, হিমালয়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার।
তেঁতুলিয়া উপজেলার প্রায় সব জায়গা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও সবচেয়ে ভালো উপভোগ করা যায় মহানন্দা নদীর তীরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ও পিকনিক কর্নার থেকে। গত শুক্রবার সকালে ভালোভাবে দেখা গেলেও দুপুরের পর কিছুটা ঝাপসা হয়ে যায়।
সূর্যের আলোতে কখনো শুভ্র, কখনো গোলাপী আর কখনো লাল রঙ ধারণ করে বরফ আচ্ছাদিত পর্বত চূড়াটি। এই দৃশ্য সবচেয়ে উপভোগ্য হয় ভোর ও বিকেলে। কাঞ্চনজঙ্ঘায় পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার জন্য তেঁতুলিয়ায় গড়ে উঠেছে নানা ধরনের স্থাপনা। এর মধ্যে রয়েছে- জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, উপজেলা পরিষদের বেরং কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং নানা ধরনের খাবারের রেস্তোরাঁ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে মেঘমুক্ত আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্পষ্ট দেখা যায়। এ বছর লকডাউনের কারণে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং আকাশে মেঘ না থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু আগেভাগে দৃশ্যমান হয়েছে হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে আগামীতে আকাশ পরিষ্কার থাকলে আবারও দেখা যেতে পারে।