সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২১ সোমবার

পর্তুগালে-বাংলাদেশ-দূতাবাসের-আয়োজনে-জাতীয়-শোক-দিবস-পালিত

পর্তুগালে-বাংলাদেশ-দূতাবাসের-আয়োজনে-জাতীয়-শোক-দিবস-পালিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে পর্তুগালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

স্থানীয় সময় রোববার জাতীয় শোক দিবসের মর্মের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দূতাবাস প্রাঙ্গণে উপযুক্ত ব্যানার ও  পোস্টার লাগানো হয়, অংশগ্রহণকারীরা সাদা-কালো পোশাক পরিধান করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

এদিন সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

বিকেলে দূতাবাস চত্বরে রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্রাবস্থা থেকে শুরু করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত সময়ে তার রাজনৈতিক জীবনের যুগান্তকারী ঘটনাবলীর ওপর ‘আলোকচিত্রে সংগ্রামী বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। শিরোনাম সম্বলিত এবং কালানুক্রমিকভাবে সাজানো এ আলোকচিত্র দর্শনার্থীরা আগ্রহের সঙ্গে উপভোগ করেন।  

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, রাজনৈতিক দল, সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা এবং ছাত্রসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।

এ পর্বের শুরুতে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এবং বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠণের নেতা ও কর্মীরা জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এরপর জাতির জনক ও তার পরিবারের সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদদের স্মরণে এক  মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়। পরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু ব্যক্তি মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেনি, তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে। কিন্তু ঘাতকেরা বাঙালির মন থেকে যেমন বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবিকে মুছে ফেলতে পারেনি, তেমনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চিরন্তন শিখাকেও নিভিয়ে দিতে পারেনি।  

আলোচনা পর্ব শেষে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্র/সরকার প্রধান হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব’ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ’ বিষয়ের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।