ফ্যাশনে গামছার বাজিমাত
প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ১৯ মে ২০১৯ রোববার
ফ্যাশনে-গামছার-বাজিমাত
প্রথমে আসা যাক শাড়িতে। গামছা চেকের শাড়ি এখন দারুন ট্রেন্ডি। একটু ভাল বুটিক কালেকশনে চোখ রাখলেই হাজার একটা গামছা চেকের শাড়ি পেয়ে যাবেন হাতের কাছে। সকালে পুজো দিতে গেলে আদি সাদা-লাল গামছা চেক পরুন। সবচেয়ে ভাল লাগবে আটপৌরে ধাঁচে পড়লে। চুল খোলা থাক। কপালে ছোট্ট লাল টিপ আর গাঢ় কাজল। শুধু কিন্তু গামছা শাড়িতে আটকে থাকলে চলবে না।
শাড়ি পছন্দ না হলে যে কোনো ব্লক কালার সুতি বা খাদির শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্টে পরুন গামছা চেক ব্লাউজ। দুর্দান্ত মানাবে। তবে হ্যাঁ, নববর্ষ বলে কথা। ব্লাউজেও থাকতে হবে স্পেশ্যালিটি। থ্রি-কোয়ার্টার বা গ্লাস স্লিভসের সঙ্গে গামছা চেকের কুঁচি বা ফ্রিল ট্রাই করতে পারেন। ঘটি হাতা ব্লাউজও সাবেকি সাজের সঙ্গে ফাটাফাটি। আর জরা হাটকে সাজতে চাইলে কোল্ড সোল্ডার তো আছেই। ফুল হাতাও ট্রাই করতে পারেন। তবে অবশ্যই সকালের দিকে। না হলে গরমের হাত থেকে আপনাকে কে বাঁচাবে?
এ তো গেল শাড়ি-ব্লাউজের কথা। তবে লং ম্যাক্সি ড্রেসের চল রয়েছে। গামছা চেক ড্রেস বাছতে পারেন। অফ শোল্ডার সুতির লং গাউন দারুন মানাবে পয়লার দিনে।আরো একটা পোশাক কিন্তু এখন ইয়ং জেনারেশনের হট লিস্টে। লং স্কার্ট আর র্যাপার। আর সেখানেও অবশ্যম্ভাবী গামছা। ব্লক কালারের স্কার্টে থাকতে পারে গামছা পাড়। বা পুরো স্কার্টটাই চেকের ওপর হতে পারে। আবার প্লেইন সুতির স্কার্টের সঙ্গে টাই-আপ করতে পারেন গামছা চেক টপও। শুধু কী জামাকাপড় পরলেই হল? সঙ্গে গয়না না হলে আর পয়লা বৈশাখ কী? গামছা প্রিন্টের গয়নাও কিন্তু হট কেকের মতো বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কী নেই সেখানে? ব্যাঙ্গলেস থেকে নেক পিস, দুল থেকে আংটি সবটাই পাবেন।
ছেলেরা ভাবতে পারে সব সাজগোজ শুধুই মেয়েদের বেলা। ছেলেরা যেন বানের জলে ভেসে এসেছে। এমনকী গামছাও বোধহয় তাঁদের মোটে পাত্তা দিচ্ছেনা। জ্বী না, এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। গামছা চেক শার্ট, পঞ্জাবিতে গামছার পোঁচ, চেক কুর্তা, গামছা পেড়ে ধুতি সবটাই দোকানে রেডি আপনারই জন্য।
দৈনিক প্রভাতী/জেএমএস