রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১   ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদা খেলে মারাত্মক ক্ষতি!

প্রকাশিত : ১২:৩৮ পিএম, ১৫ মে ২০১৯ বুধবার

আদা-খেলে-মারাত্মক-ক্ষতি

আদা-খেলে-মারাত্মক-ক্ষতি

ঠান্ডা লেগে গলা ব্যথা বা কাশি হোক, কিংবা বমি ভাব, এক টুকরো আদাই হল ঘরোয়া সহজলোভ্য জিনিস যা খেলেই বেশ উপশম পাওয়া যায়। আবার রান্নায় আলাদা স্বাদ আনতে যে এর কোনো ব্যতিক্রম নেই তা তো সকলেই জানি। আবার এই আদাই চায়ের মধ্যে মিশিয়ে খেলে তা এক আলাদা মাত্রা এনে দেয়। গলা খুশখুশ করলে এককাপ আদা চা খেলেই মিটতে পারে সমস্যা। এমনিতে আদার নানা রকমের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা মোটামুটি সকলেই ওয়াকিবহাল। তবে এই আদার মধ্যেও এমন অনেক কিছু আছে যা শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়াও দেখায়। বিশেষ করে রান্নায় অতিরিক্ত আদা ব্যবহার বা শুকোনো আদা খাওয়ার নেশা শরীরে ক্ষতি ডেকে আনে।

কেন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত আদার ব্যবহার তা জানা যাক-
 
১) আদা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে। তাই কারো যদি শরীরের ওজন কম হয়, সেক্ষেত্রে আদার খুবই কম খাওয়া উচিত। কারণ, আদায় ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা শরীরের পিএইচ লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হজমের প্রক্রিয়া খুবই ভাল হয়। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় পিএইচ লেভেল বাড়লে ওজন আরো কমতে থাকে। ওজন বাড়াতে চাইলে আদা না খাওয়াই ভাল।

২) শরীরে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে আদা। ফলে, যাদের ওজন বেশি ও ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য আদা উপকারি। কিন্তু, যাদের হিমোফিলিয়া রয়েছে, তাদের জন্য আদা প্রায় বিষের সমান। তাই আদা কতটা খাবেন, সেটা বুঝে খান।

৩) গর্ভাবস্থায় আদা না খাওয়াই ভাল। আদায় বেশ কয়েক ধরনের স্টিম্যুলেট রয়েছে যা শরীরের পেশী মজবুত করে। ফলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আদা এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস।

৪) অতিরিক্ত আদা খেলে বুকে ব্যথাও হতে পারে।

৫) যখন কোনো বিশেষ ধরনের ওষুধ খেতে হয়, তখন এর সঙ্গে আদার কোনো শত্রুতা আছে কি না তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। যারা ডায়াবেটিস কিংবা ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খান, তাদের জন্য আদা বেশ ক্ষতিকর। কারণ, এই দুই অসুখের জন্য যে ওষুধ ব্যবহৃত হয়, তার সঙ্গে আদার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।



দৈনিক প্রভাতী/জেএমএস