সুদানে বঙ্গবন্ধুর নামে ‘ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড মেডিটেশন পার্ক’
প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২১ মঙ্গলবার
সুদানে-বঙ্গবন্ধুর-নামে-ফ্রেন্ড-অব-দ্য-ওয়ার্ল্ড-মেডিটেশন-পার্ক
নিয়ালা সুপার ক্যাম্প প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের। যার ২০ শতাংশই পর্বত। এই পর্বত অংশের ১ বর্গ কিলোমিটার জায়গাকে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিট পাথর কেটে ক্যাম্পে অবস্থানরত সদস্যদের জন্য এই পার্ক নির্মাণ করেছে।
কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, মিশনে থাকা সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক স্বস্তির জন্য ক্যাম্প চত্বরে এ ধরনের একটি পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। এ পার্কে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। জাতির পিতাকে জাতিসংঘ থেকে ‘ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ উপাধি দেয়ায় এই দিনটাকে জাতিসংঘ মিশন সুদানে মনে রাখার জন্যই এ পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সাধ্যের মধ্য থেকে এই পার্কটি গড়া। যার ফলে পার্কটি পরিদর্শনে এসে উনামিড মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পুলিশ সম্পর্কে উচ্চ আশা পোষণ করেন। পাশাপাশি ক্যাম্পে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের সদস্যরাও এখানে অবসর সময় কাটাতে পারবেন।
এতে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি। পার্কটিতে বসানো হয়েছে ৪০ ফুট লম্বা ওয়াচ টাওয়ার, আছে নান্দনিক ধাচের দুইটি শেড ও পাথর কেটে তার মধ্যে স্টেনলেস স্টিল দিয়ে তৈরি ১০টি বসার বেঞ্চ। পার্কটিকে ঘিরে নিয়ালা ক্যাম্পের বাসিন্দারা বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
ব্যানএফপিইউ কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের প্রচেষ্টায় এ পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। পার্কটিতে মেডিটেশনের পাশাপাশি স্ট্রেস নির্মূলের জন্য পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ১০০টি বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।
এছাড়া পার্কের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যমান ছোট ছোট গাছের সঙ্গে পাখিদের আবাসনের জন্য নানা ধরনের পাখির বাসা তৈরি করে দেয়া আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কের প্রবেশের পথে সিরামিক ও সিমেন্টের তৈরি বাংলাদেশের পতাকার রঙের সঙ্গে মিল রেখে প্রবেশদ্বার তৈরি করা হয়েছে। এর বাম পাশে ‘ফ্রেন্ড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড মেডিটেশন পার্ক’ এর সাইনবোর্ড ও স্বাগতম বিলবোর্ড। কিছু দূর গেলেই পাথরের উপরে জাতির পিতার ৭ মার্চ ভাষণের প্রতিকৃতি এবং তার পাশেই ৪০ ফুট উচ্চতার ওয়াচ টাওয়ার। এই টাওয়ারে করে সম্পূর্ণ নিয়ালা সুপার ক্যাম্প দেখা যায়। ওয়াচ টাওয়ারের পেছনে পাহাড়ের খাঁচে খাঁচে নির্মাণ করা হয়েছে বসার শেড ও বেঞ্চ।