পর্তুগাল বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
প্রকাশিত : ১২:০০ এএম, ২৯ মার্চ ২০২১ সোমবার
পর্তুগাল-বাংলাদেশ-দূতাবাসে-স্বাধীনতার-সুবর্ণজয়ন্তী-উদযাপন
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পর্তুগিজ সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার দূতাবাসের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
এদিন সকালে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির সূচনা করেন।
পরে ডিজিটাল জুম প্ল্যাটফর্মে ‘বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল কর্মসূচি হয়। দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, আমন্ত্রিত পর্তুগিজ অতিথি, পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং অনান্য আমন্ত্রিত অতিথিরা অনলাইনে এ উদযাপনে অংশ নেন।
অতিথিদের মধ্যে পর্তুগিজ পার্লামেন্টের সদস্য এবং পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও পর্তুগিজ কমিউনিটি বিষয়ক কমিটির সদস্য জনাব পাওলো নেভেস এবং লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত পৌর এলাকা সান্তা মারিয়া মাইওর এর কাউন্সিল সভাপতি জনাব মিগুয়েল কোয়েলহো অনলাইনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান স্বাধীনতা, জাতীয় দিবস এবং গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পড়ে শোনানো হয় এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব এ উন্নয়ন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ অনুসরণের কারণেই সম্ভব হয়েছে।
সভায় পর্তুগিজ জনপ্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের অত্যন্ত প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক দুটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শনসহ একটি রেকর্ড করা গানও অনুষ্ঠানে বাজানো হয়। অবশেষে অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।