বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
প্রকাশিত : ০৬:০০ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সোমবার
বিশ্বের-বিভিন্ন-দেশের-বাংলাদেশ-দূতাবাসে-আন্তর্জাতিক-মাতৃভাষা-দিবস-পালিত
আজ সোমবার ঢাকায় প্রাপ্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান একুশের ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে, প্রভাত ফেরিতে অডিটোরিয়ামটিতে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং মহান একুশের ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক ফেরামে বহুভাষিকতাকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাগতিক দেশের বিধি-বিধান প্রতিপালন করে দিবসটি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের নিয়ে ভাষা শহিদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন কনসাল জেনারেলসহ কনস্যুলেটের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনবদ্য সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন।
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রথম বাংলা ভাষায় বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য এবং ৭ মার্চে বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে শুধুমাত্র ভাষা আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেননি, তিনি পরবর্তীতে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করেছেন।
মহান একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই সন্ধিক্ষণে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান কনসাল জেনারেল।
বাংলাদেশ দূতাবাস, মস্কো যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১ পালন করেছে। মহান এ দিনটি পালনের জন্য মিশন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
দিবসের কর্মসূচি শুরু হয় ভাষা শহিদদের স্মরণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে। দিনের প্রথম প্রহরে মিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারির উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এরপর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস, আদ্দিস আবাবা যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি-২০২১ ‘শহিদ দিবস’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করেছে। করোনাভাইরাস জনিত মহামারির কারণে স্বাগতিক দেশের নির্দেশনা অনুযায়ি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়।
দিনের প্রথম ভাগে ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এতে প্রবাসি বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের আংকারাস্থ দূতাবাসে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও প্রবাসি বাংলাদেশিরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং দূতাবাস প্রাঙ্গণে নবনির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। করোনা সংক্রামণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১। উক্ত দিবসের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হাই-কমিশনারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ হাউজে জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত করা হয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরিশেষে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাস, স্টকহোমে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে দেশটির রাজধানী স্টকহোমে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বিকেলে অনলাইনে জুম প্লাটফর্মে একুশে ফেব্রুয়ারির তাৎপর্য নিয়ে এক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে সুইডেন, নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ অনলাইনে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে যোগদান করেন।