শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

৫০০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে ইউরোপ

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২২ ১৫ ০৩ ০২  

৫০০-বছরের-ইতিহাসে-সবচেয়ে-ভয়াবহ-খরার-মুখে-ইউরোপ

৫০০-বছরের-ইতিহাসে-সবচেয়ে-ভয়াবহ-খরার-মুখে-ইউরোপ

বিগত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে ইউরোপ। এই ভূখণ্ডের দুই–তৃতীয়াংশে এরই মধ্যে প্রধান প্রধান নদীগুলোর পানি শুকিয়ে গিয়ে নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে অভ্যন্তরীণ নৌযোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে ব্যাপক হারে।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ইউরোপীয় খরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (ইডিও) এসব কথা জানিয়েছে।

কেন্দ্রটির আগস্ট মাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খরার কারণে ইউরোপের ৪৭ শতাংশ এলাকা সতর্কতামূলক পরিস্থিতিতে রয়েছে, যেখানে মাটির আর্দ্রতা স্পষ্টত কমে গেছে। আরও ১৭ শতাংশ এলাকা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, যেখানে গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইডিও বলেছে, বছরের শুরু থেকে ইউরোপের বহু অঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা মারাত্মক খরা আগস্টের শুরুর দিকে আরও প্রসারিত ও খারাপ হয়েছে। পশ্চিম ইউরোপ-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে অন্তত আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

এবারের গ্রীষ্মে ইউরোপের বেশিরভাগ অংশে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত তাপমাত্রা ছিল, যা খরা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে। এতে দাবানল সৃষ্টি হয়েছে, বিভিন্ন অঞ্চলে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন>> ট্রাক আটকে বস্তা নামিয়ে চাল খেল হাতি!

৫০০ বছরে এমন খরা দেখেনি ইউরোপজার্মানির রেমাগেনে রাইন নদীর পানি কমে যাওয়ায় আটকে গেছে নৌকাটি। ছবি সংগৃহীত

ইউরোপীয় কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমান খরা অন্তত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে দেখা যাচ্ছে। মৌসুমের শেষে চূড়ান্ত তথ্যের প্রাথমিক মূল্যায়ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

খরায় গ্রীষ্মকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২০২২ সালে ভুট্টার ফলন আগের পাঁচ বছরের গড় থেকে ১৬ শতাংশ কম এবং সয়াবিন ও সূর্যমুখীর ফলন যথাক্রমে ১৫ শতাংশ ও ১২ শতাংশ কম হবে।

উষ্ণ আবহাওয়ায় ইউরোপের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি শীতলীকরণ ব্যবস্থায় পানির ঘাটতির কারণে অন্যান্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের ওপরও প্রভাব পড়েছে।

আরো পড়ুন>> শেষকৃত্যানুষ্ঠানে বজ্রপাত, প্রাণ গেলে ৬ নারীর

পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যেমন- রাইন নদীতে চলাচলকারী জাহাজগুলোর লোড কমাতে হওয়ায় তেল ও কয়লা পরিবহনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

ইডিও বলেছে, আগস্টের মাঝামাঝি বৃষ্টিপাত হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এমন আবহাওয়ার সঙ্গে বজ্রঝড়ও দেখা দেয়, যার কারণে আরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর