শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেই মরিয়মের মাকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০ ১২ ০২  

সেই-মরিয়মের-মাকে-জীবিত-উদ্ধার

সেই-মরিয়মের-মাকে-জীবিত-উদ্ধার

খুলনার মহেশ্বরপাশায় মরিয়ম মান্নানের নিখোঁজ মা রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা খুলনার দৌলতপুর থানার এসআই লুৎফুল হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরইমধ্যে দুটি সংবাদমাধ্যম ও পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে মরিয়ম মান্নানও এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাকে খোঁজে পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।

মরিয়মের সর্বশে ফেসবুক স্ট্যাটামে মাকে খোঁজে পাওয়ার কথা জানান।- ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ বলছে, মরিয়মের মা রহিমা বেগম স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আব্দুল হক জানান, রাত সাড়ে ১০টায় বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। তাকে এখন খুলনায় পাঠানো হচ্ছে।

এর আগে, গত শুক্রবার ময়মনসিংহে ১২ দিন আগে উদ্ধার করা একটি মরদেহকে নিজের মায়ের বলে দাবি করেন মরিয়ম মান্নানসহ রহিমা বেগমের তিন মেয়ে। ঐ সময় ফেসবুক স্ট্যাটাসে মরিয়ম লিখেছিলেন, ‘আর কারও কাছে আমি যাবো না। কাউকে আর বলবো না আমার মা কোথায়। কাউকে বলবো না আমাকে একটু সহোযোগিতা করুন। কাউকে বলবো না আমার মাকে একটু খুঁজে দিবেন? কাউকে আর বিরক্ত করবো না। আমি আমার মা’কে পেয়ে গেছি।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ হন রহিমা। সে্ই ময় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বিল্লাল হাওলাদার ঐ বাড়িতে ছিলেন। পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নামেন রহিমা। দীর্ঘ সময় পরও ঘরে না ফেরায় সেদিন রাত সোয়া ২টায় দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার মেয়ে আদুরী। মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হয়। এছাড়া নিখোঁজের পরদিন রহিমার ছেলে মো. মিরাজ আল সাদী দৌলতপুর থানায় জিডি করেন। রহিমা খাতুন বিগত ২৭ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার সময় মেয়ে মরিয়ম বিভিন্ন পন্থায় মাকে খোঁজার চেষ্টা করেন। গত প্রায় একমাসে মায়ের খোঁজে মিডিয়া হাউসসহ প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেন তিনি। খুলনা শহরজুড়ে সাটিয়েছিলেন পোস্টার। ফেসবুকেও চেয়েছিলেন মায়ের সন্ধান। এতে বিষয়টি আলোচিত হলে দেশবাসী কামনাবাক্যে চেয়েছিলেন যাতে মরিয়ম তার মাকে ফিরে পান।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী