শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘মায়ের লাশ’ আনতে ময়মনসিংহ যাচ্ছেন মরিয়ম

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২ ১২ ০২  

মায়ের-লাশ-আনতে-ময়মনসিংহ-যাচ্ছেন-মরিয়ম

মায়ের-লাশ-আনতে-ময়মনসিংহ-যাচ্ছেন-মরিয়ম

সম্পর্কিত খবর ২৭ দিন পর মায়ের লাশ পেলেন মরিয়ম, ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিখোঁজের ২৭ দিন পর মায়ের লাশ পেয়েছেন মরিয়ম মান্নান। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই এ তথ্য জানান মরিয়ম। ‘মায়ের লাশ’ আনতে শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি।

২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ হন মরিয়মের মা রহিমা খাতুন। পানি আনতে বাড়ি থেকে নিচে নেমেছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় পরও মায়ের খোঁজ না পাওয়ায় দৌলতপুর থানায় মামলা করেন মরিয়ম। পরে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হয়।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মরিয়ম মান্নান ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি এই মাত্র।’ রাত ১২টার পর ফেসবুকে আরেক পোস্টে মরিয়ম মান্নান লেখেন, ‘আর কারও কাছে আমি যাব না! কাউকে আর বলব না, আমার মা কোথায়! কাউকে বলব না, আমাকে একটু সহযোগিতা করুন! কাউকে বলব না, আমার মাকে একটু খুঁজে দেবেন! কাউকে আর বিরক্ত করব না! আমি আমার মাকে পেয়ে গেছি!’

শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে মরিয়ম বলেন, ‘আমার হতভাগিনী মায়ের পচা-গলা লাশ আনতে ময়মনসিংহের ফুলপুরে যাচ্ছি। আমার মায়ের হাত, আমার মায়ের চুল, মায়ের কপাল, আমি চিনব না?’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আমার মাকে খুঁজে বের করেছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে ছবি পাঠিয়েছি। তবে মায়ের লাশ অফিশিয়ালি হাতে পাওয়ার পর সবকিছু বলব।’

ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১০ সেপ্টেম্বর সকালে থানার বওলা এলাকায় একটি কবরস্থানের ঝোপজঙ্গল থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। নারীর বয়স ৩০–এর বেশি হতে পারে। দুই দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর লাশটি দাফন করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আলামতও সংরক্ষণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মরিয়ম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফোন করে জানান তিনি সকালে থানায় এসে জব্দ করা নারীর পোশাকসহ অন্যান্য আলামত দেখবেন। যদি তার পোশাক দেখে মেয়েটি বলেন এগুলো তার মায়ের, তাহলে চূড়ান্তভাবে লাশ শনাক্তে মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হতে পারে।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেছেন যে পরনের কাপড়ের ছবি দেখে তিনি মায়ের লাশ শনাক্ত করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তা মরিয়মকে ফুলপুর থানায় যাওয়ার জন্য বলেছেন। সেখানে তার ডিএনএ সংগ্রহ করে উদ্ধার করা মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। যদি ডিএনএ মেলে, তাহলে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী