ফোনকলের সূত্র ধরে দুই বছর পর বাইক চালকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে নিখোঁজের দুই বছর পর ফোনকলের সূত্র ধরে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক রানা শরীফের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মোল্লাহাট উপজেলায় শাসন গ্রামের গ্রেফতার পাঁচজনের দেওয়া তথ্যমতে মামুন শেখের বাঁশ বাগানের মাটির নিচ থেকে বস্তাবন্দী লাশের হাড় উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাপুল আলম।

তিনি জানান, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে মোল্লাহাট উপজেলায় শাসন গ্রামের শরীফ আহমেদ বাচ্চুর ছেলে রানা শরীফ একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিঁখোজ হন। এরপর ওই বছরের ৪ আক্টোবর ছেলের নিখোঁজের বিষয়ে শরীফ আহমেদ বাচ্চু মোল্লাহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

ওই ফোনকলের সূত্র ধরে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় মোল্লাহাট থানা পুলিশ নিখোঁজের দুই বছর পর বুধবার রাতে সন্দেহভাজন পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হোসাইন চৌধুরী, নাদিম চৌধুরী, শহিদুল চৌধুরী, জুয়েল মোল্লা ও রুহুল আমিন ফকিরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা শরীফকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে বাঁশ বাগানে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন।

তিনি আরো বলেন, তাদের দেখানো মতে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার শাসন গ্রামের মামুন শেখের বাঁশ বাগানের মাটির নিচ থেকে বস্তাবন্দী লাশের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার ওই পাঁচজনের বাড়ি মোল্লাহাট উপজেলায় শাসন গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা শরীফ আহমেদ বাচ্চু বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট থানায় গ্রেফতার পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মাদক বেচাকেনা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

মোল্লাহাট থানার ওসি সৌমেন দাস জানান, রানা শরিফ কখনো ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন, আবার কখনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতেন। পাওনা টাকা এবং মাদক নিয়ে শরীফের সঙ্গে গ্রেফতারদের বিরোধ ছিল। এর জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।