প্রথমবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ

চীনের হুঁশিয়ারি ও সামরিক মহড়া উপেক্ষা করে পঞ্চম প্রভাবশালী মার্কিন ব্যক্তি হিসেবে তাইওয়ান সফর করছেন মার্কিন সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন। এতে তাইওয়ান-চীনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের চীনের কড়া প্রতিক্রিয়ার পর প্রথমবার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। রোববারই তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে মার্কিন গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিট্যাম ও ইউএসএস চ্যান্সেলরভিল। 

জাপানে অবস্থিত মার্কিন সপ্তম নৌবহরের সদর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গভীর সমুদ্রে জাহাজ চলাচলের আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তাইওয়ান প্রণালীতে এ যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতিতে আরো জানায়, কোনো দেশের উপকূলীয় সীমা ব্যবহার করেনি এসব যুদ্ধজাহাজ। আন্তর্জাতিক আইন অনুমোদন দিলে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেকোনো জায়গায় সামরিক বাহিনী ও তাদের যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে পারে।

তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ড মনে করে চীন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাইওয়ান ইস্যুতে এক চীননীতি মেনে চলে। চীন বারবার বলে আসছে- তারা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে যুক্ত করতে চায়, এজন্য প্রয়োজন হলে শক্তিও প্রয়োগ করবে তারা।

এদিকে, তাইওয়ানের জনগণকে চীনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। তাইওয়ানকে সামরিক দিক থেকে শক্তিশালী করতে বিপুল পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠায় মার্কিন সরকার। শুধু তাইওয়ান নয়, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশকে মিত্র বানিয়ে এশিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার রাখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।