শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কষ্ট করে নেদারল্যান্ডসকে হারাল পাকিস্তান

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২২ ১২ ১২ ০১  

কষ্ট-করে-নেদারল্যান্ডসকে-হারাল-পাকিস্তান

কষ্ট-করে-নেদারল্যান্ডসকে-হারাল-পাকিস্তান

আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থান চতুর্থ। অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস ঠিক দশ ধাপ পিছিয়ে। তবে সেই পুঁচকে ডাচদের কাছেই কি-না হারতে বসেছিল পাকিস্তান! যদিও শেষমেশ কষ্ট করে হলেও শেষ হাসি হেসেছে বাবর আজমের দল।

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে মাত্র ২০৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেই লক্ষ্য প্রায় তাড়া করে ফেলেছিল নেদারল্যান্ডস। তবে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতার কাছে শেষমেশ মার খেয়ে গেছে স্বাগতিকরা। ডাচরা ম্যাচটা হেরেছে মাত্র ৯ রানে।

আগের দুই ম্যাচে জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল পাকিস্তান। তবে ওয়ানডে সুপার লিগের খেলায় যে ‘ডেড রাবার’ বলে কিছু নেই! আর তাই শেষ ম্যাচেও প্রায় পুরো শক্তির দল নিয়েই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। শুধু ইমাম উল হকের জায়গায় অভিষেক হয়েছিল আব্দুল্লাহ শফিকের।

শুরুতে ব্যাট করা পাকিস্তানের হয়ে একাই লড়েছেন বাবর আজম। সঙ্গীদের আসা যাওয়ার ভিড়ে তিনি করেছেন ৯১ রান। সেটাই হয়ে ছিল পাকিস্তানের ইনিংসের মেরুদণ্ড। বাকি সব ব্যাটসম্যান মিলে যে করেছিলেন মোটে ১১৫ রান, ৩০ এর ওপরে যায়নি কারো ব্যক্তিগত ইনিংসই!  

পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতার শুরুটা হয়েছিল অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিককে দিয়ে। অভিষেকটা তিনি রাঙাতে পারেননি মোটেও। দলীয় ৩ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফখর জামান আর আগা সালমান থিতু হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে ফেরেন। 

এরপরের গল্পটা কেবলই বাবরের। ডাচ বোলারদের তোপ সামলে একপাশ আগলে রাখেন তিনি। তবে ওপাশে দেখেছেন সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিল। মাঝে মোহাম্মদ নওয়াজের সঙ্গ পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু এরপর তিনি নিজেই বিদায় নেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে। 

এরপর নওয়াজের ব্যাটিংয়ে রানটা ২০০'র কাছাকাছি পৌঁছায় পাকিস্তানের। তিনি দলকে ১৯১ রানে রেখে বিদায় নিলেও লেজের ব্যাটসম্যানদের সহায়তায় রানটা ২০০ পেরোয় সফরকারীদের। ৫০তম ওভারের চতুর্থ বলে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২০৬ রান তোলে দলটি।

জবাবে ডাচদের ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি। ১০ রানে প্রথম উইকেট খোয়ায় স্বাগতিকরা। এরপর ৩৭ রান তুলতে হাওয়া আরও এক জোড়া উইকেট। এরপর বিক্রমজিৎ সিং আর টম কুপার হাল ধরেন দলের। দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৭১ রান। তাতে রান তাড়ার কক্ষপথে ফেরে ডাচরা, আর পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা যায় বেড়ে।

ইনিংসের ৩১তম ওভারে ওপেনার বিক্রমজিৎকে বিদায় করে সে দুশ্চিন্তা কিছুটা কমান মোহাম্মদ ওয়াসিম। এরপরের ব্যাটসম্যান স্কট অ্যাডওয়ার্ডসও বিদায় নেন অল্পতেই। ১১৬ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে বসে স্বাগতিকরা। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে কুপার তেজা নিদামানুরুকে সঙ্গে নিয়ে যোগ করেন ৫৬ রান।

এমন অবস্থায় জয়ের আশাটা আবারও জেগে ওঠে ডাচ শিবিরে। তবে শেষরক্ষা হয়নি দলটির। দুই রানের ব্যবধানে দুই জনকে হারিয়ে বিপদে যে পড়ল ডাচরা, শেষ পর্যন্ত আর উদ্ধার হতেই পারল না দলটি। শেষ দিকে লোগান ফন বিক, আরিয়ান দত্তরা চেষ্টা করেছেন বটে, তবে তা দলটিকে জেতাতে পারেনি আর।

শেষ ওভারে ১৯৭ রানে অল আউট হয় নেদারল্যান্ডস। তাতে দলটির সঙ্গী হয় ৯ রানের আক্ষেপ। আর বাবর আজমের দল সিরিজ জেতে ৩-০ ব্যবধানে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী