শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

উদ্ধারের পর মুখে কুলুপ এঁটেছেন মরিয়মের মা, চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯ ০৯ ০২  

উদ্ধারের-পর-মুখে-কুলুপ-এঁটেছেন-মরিয়মের-মা-চাঞ্চল্যকর-তথ্য-জানাল-পুলিশ

উদ্ধারের-পর-মুখে-কুলুপ-এঁটেছেন-মরিয়মের-মা-চাঞ্চল্যকর-তথ্য-জানাল-পুলিশ

ফরিদপুরের বোয়ালিয়ায় কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে অক্ষত অবস্থায় মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা খাতুনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। 

শনিবার দিনগত রাত পৌনে ২টারয় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খুলনার গৃহবধূ রহিমা খাতুন কেন, কী কারণে নিখোঁজ ছিলেন- আমরা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। কারণ পুলিশ হেফাজতে আনার পর থেকে তার মুখ বন্ধ রয়েছে। তবে বাড়ির লোকজন জানায়, রহিমা খুলনা থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর হয়ে চট্টগ্রাম যান। সেখান থেকে ফরিদপুরের বোয়ালিয়ায় কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে আসেন।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, রাতে রহিমা কিছু খেতে চাননি। এখন কথা না বলে ইশারায় বোঝানোর চেষ্টা করছেন। পুলিশ যখন বোয়ালিয়ার কুদ্দুসের বাড়িতে পৌঁছায় তখন রহিমা সেখানে কুদ্দুসের স্ত্রী ও ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ছিলেন। পুলিশ দেখার পরই তিনি অবাক হন। এ সময় কুদ্দুস বাড়িতে না থাকায় কুদ্দুসের স্ত্রী ও ছেলে ও ভাইয়ের বউকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রহিমা তাদের এখানে আসার কারণ জানাননি। তারা রহিমার কাছে এ সব জানার চেয়ে সাবেক বাড়িওয়ালাকে সেবাযত্ন করতে বেশি তৎপর ছিলেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত ৭ দিন রহিমা এ বাড়িতে ছিলেন। রহিমা তাদের জানায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর ও চট্টগ্রাম ঘুরে তিনি ফরিদপুরে এসেছেন। রহিমার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় থাকায় তারা তেমন কোনো সন্দেহও করেননি। আর রহিমার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গেও কথা বলেননি।

মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রহিমাকে উদ্ধার অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। এ কাজটি করতে গিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা বিফল হয়। কারণ রহিমা তার ব্যবহৃত মোবাইলটি চালু করেননি। এজন্য আমরা গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করি। তাতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও আমরা সফল হয়েছি। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। আশা করছি- তারা এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হবে। আমরা আপাতত রহিমাকে কেএমপির ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারেই রাখব। তাকে সেবা ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুস্থ করে তুলবো আগে। এরপর যখনই চাইবে তখনই রহিমাকে আমরা পিবিআইতে হস্তান্তর করব।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী