বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্বে আরো একজনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
বউ-শাশুড়ির-দ্বন্দ্বে-আরো-একজনের-মৃত্যু
সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মিনারা আক্তার মদন উপজেলার রুদ্রশ্রী গ্রামের ইব্রাহিম মিয়ার স্ত্রী। এর আগে, এ ঘটনায় রোববার রাতে রুদ্রশ্রী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শফিকুল ইসলাম নিহত হন। এছাড়া ঐ বউ-শাশুড়ির দ্বন্দ্বে নারীসহ আরো ছয়জন আহত হন। আহত ইব্রাহীম, মোবারক হোসেন, মাসুম মিয়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া আহত জুনাঈদ, রিনা আক্তার ও কাদির মিয়া মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, মদন উপজেলার রুদ্রশ্রী গ্রামের এলাল উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন চার বছর আগে ফতেপুর মড়লপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মুন্না আক্তারকে বিয়ে করেন। রোববার সন্ধ্যায় মুন্না আক্তার তার শ্বাশুড়ি রিনা আক্তারের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া করেন। মুন্না আক্তার বাবার বাড়িতে গিয়ে শ্বাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়ার কথা তার পরিবারকে জানান। মুন্না আক্তারের কথা শুনে বাবা আব্দুল মান্নান লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ রাত আনুমানিক ১০টার দিকে মেয়ের জামাই মোবারক হোসেনের বাড়ি রুদ্রশ্রী গ্রামে হামলা চালান। এ ঘটনা থামাতে আসলে প্রতিবেশী শফিকুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হামলায় মিনারা আক্তারসহ আরো সাতজন আহত হন।
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা আক্তার মারা যান।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে শফিকুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। ঐ ঘটনায় আহত মিনারা আক্তার সোমবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শরূফা আক্তার নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।