শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড 

প্রকাশিত : ০৮:১৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

ইউপি-সদস্য-হত্যা-মামলায়-যুবকের-মৃত্যুদণ্ড 

ইউপি-সদস্য-হত্যা-মামলায়-যুবকের-মৃত্যুদণ্ড 

লক্ষ্মীপুরে ওমর ফারুক নামে এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মো. আমিন নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমিন সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের বশির উল্যার ছেলে।

২০১৭ সালের ৩১ মার্চ রাতে ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম করে হত্যা করা হয়। তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন ফারুক।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ রাতে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক শ্যামগঞ্জের পাটওয়ারী হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আমির হোসেন ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। স্থানীয়রা ফারুককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে নোয়াখালীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঐদিন রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওমর ফারুকের স্ত্রী আমেনা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়। ঐ মামলায় পুলিশ মো. আমিনকে গ্রেফতার করে। ২০১৮ সালের ১১ মে আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার এসআই শামসুল আরেফিন। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনে মামলায় তৃতীয় আসামি মো. আমিনকে একক অভিযুক্ত করে এবং বাকি আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন মর্মে উল্লেখ করেন।

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওমর ফারুক হত্যা মামলায় পুলিশ মো. আমিন নামে একজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। আদালতের বিচারক পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি মো. আমিনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন।