শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

একসঙ্গে পরিবারের ৪ জনকে হারিয়ে নির্বাক রবিন

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

একসঙ্গে-পরিবারের-৪-জনকে-হারিয়ে-নির্বাক-রবিন

একসঙ্গে-পরিবারের-৪-জনকে-হারিয়ে-নির্বাক-রবিন

সম্পর্কিত খবর পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে নিহত বেড়ে ৩৯ পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে মৃত্যু বেড়ে ৩২ নদীর ওপারে মন্দির। শুরু হয়েছে মহালয়া। ওই অনুষ্ঠান স্থলে যাওয়ার একমাত্র ভরসা নৌকা। ৩০ বছরের রানী ওরফে লিপি রানী। পরিবারের আরো তিনজনকে নিয়ে উঠেন নৌকায়। কিন্তু মন্দিরে পৌঁছনোতো দুরের কথা নদীই পার হতে পারেননি তারা। মাঝ নদীতে যেতেই ঘটে দুর্ঘটনা। ফলে নৌকার অন্যান্য যাত্রীদের মত একসঙ্গে প্রাণ যায় এই ৪ জনেরও। 

লিপি রানী বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙা ইউনিয়নের ছত্রশিকারপুর এলাকায়। তিনি সেখানকার রবিন বর্মনের স্ত্রী। লিপি রানীর সঙ্গে ছিলেন- তার ৪ বছর বয়সী ছেলে বিষ্ণু বর্মন, রবিনের ছোট ভাই কার্তিক বর্মনের স্ত্রী লক্ষী রানী এবং রবিনের ভাতিজা ৩ বছর বয়সী শিশু দীপঙ্কর বর্মন।

সোমবার সকালে ৪ জনের মরদেহের সৎকার করতে শশ্মানে নিয়ে গেছেন পরিবারের লোকজন। ৪ জনের মৃত্যুতে ওই পরিবারে বইছে শোকের ছায়া। স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক রবিন। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন রবিনের ছোট ভাই বাবুল বর্মন।

বাবুল বর্মন বলেন, আমার ৩ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে দীপঙ্করকে আমার বৌদির সঙ্গে মন্দিরে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কে জানতো সে লাশ হয়ে ফিরবে।

নিহত লিপির স্বামী রবিন বর্মন বলেন, স্ত্রী-সন্তানকে পাঠিয়েছিলাম মহালয়া অনুষ্ঠানে। কিন্তু নৌকাডুবিতে আমার সব শেষ হয়ে গেল। 

এর আগে রোববার বিকেলে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। রাত ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ভোর থেকে পূনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া নিহত প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এ কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে যায়।