শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্লাসে ঢুকেই মেয়েদের শরীরে হাত দেন প্রধান শিক্ষক!

প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

ক্লাসে-ঢুকেই-মেয়েদের-শরীরে-হাত-দেন-প্রধান-শিক্ষক

ক্লাসে-ঢুকেই-মেয়েদের-শরীরে-হাত-দেন-প্রধান-শিক্ষক

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানীর অভিযোগে তারা এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। দুপুর ২ টার দিকে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখনো চলছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চরিত্র ভালো থাকা উচিত। কিন্তু তিনি যখনি বিভিন্ন ক্লাসে যান তখনি মেয়েদের শরীরে হাত দেন। আমরা চাই না আমাদের আর কোনো বোন তার দ্বারা হয়রানীর শিকার হোক। তার মতো শিক্ষক আমরা এ বিদ্যালয়ে চাই না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি।

এ সময় শিক্ষার্থীরা নাসিক ৪, ৫, ৬ নং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করলে তিনি নাকি পরীক্ষা দিতে দেবেন না। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এমন কথা কীভাবে বলেন? তিনি আমাদের ওপেনলি থ্রেট দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন আমরা যেনো না করি। 

সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। সোহেল এবং বিল্লাল নামে দুই শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ দুজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে ঠিক সময়ে আসতো না। তাই তাদের বেতন কর্তন করি। পরবর্তীতে মিটিংয়ের তাদের বেতন পরিশোধ করে দেই। তারা আমাকে ফাঁসানোর জন্য শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। 

নাসিক ৪, ৫, ৬ নং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম জানান, শিক্ষার্থীরা আমার কথা না শুনে আন্দোলন করছে। তাদের পড়াশোনার যেনো কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য আন্দোলন না করে তাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলেছিলাম।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়কে আন্দোলন করলে তাদেরকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেই। তারা এখন বিদ্যালয়ের মধ্যে আন্দোলন করছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ থাকলে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শরীফুল ইসলাম জানান, আমরা এ বিষয়ে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। আমরা দুই পক্ষের কাছ থেকে দুই রকম বক্তব্য পাচ্ছি। এখন মিটিংয়ে আছি তাই এখন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব না।